জাকিরের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি
কি দারুণ ছন্দেই না আছেন সিলেট বিভাগের তরুণ তুর্কি জাকির হাসান। জাতীয় লিগে টানা দ্বিতীয় ম্যাচেও তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন এ ব্যাটসম্যান। প্রথম ম্যাচে তার সেঞ্চুরিতেই লড়াই করতে পেরেছিল সিলেট। তবে ম্যাচ বাঁচাতে পারেননি সতীর্থদের ব্যর্থতায়। এদিন অবশ্য তার বড় সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসেই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়েছে সিলেট।
সোমবার কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে প্রথম টায়ারের ম্যাচে জাকিরের সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন শেষে ৬ উইকেটে ২৮২ রান তুলেছে এনামুল হক জুনিয়রের দল।
তবে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটাই ভালো হয়নি সিলেটের। খালি হাতে ফিরে যান ওপেনার শানাজ আহমেদ। দলীয় ১৩ রানে আরেক ওপেনার সায়েম আলমকেও হারায় তারা। তবে তৃতীয় উইকেটে অমিত হাসানকে নিয়ে ৩৭ রানের জুটিতে প্রাথমিক চাপ কাটানোর চেষ্টা করেছিলেন জাকির হাসান। কিন্তু দলীয় ৫০ রানে ফিরে যান আমিতও।
এরপর উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জাকের আলীকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজে নামেন জাকির হাসান। গড়েন ১৪৫ রানের দারুণ এক জুটি। জাকের আলী আউট হলে আব্দুল্লাহ আল গালিবকে নিয়ে ৫৯ রানের আরও একটি ভালো জুটি গড়েন জাকির হাসান। তাতেই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় দলটি।
তবে এ জুটি ভাঙতে দ্রুত রাহাতুল ফেরদৌসকেও হারায় সিলেট। গালিবের সঙ্গে এনামুল অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৫৯ রানের ইনিংস খেলেন জাকির হাসান। ২২৮ বলে ১৭টি চার ও ২টি ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান এ ব্যাটসম্যান। ডাবল সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান শুভাগত হোম। সুমন খানের তালুবন্দি করে তাকে সাজঘরে ফেরান এ স্পিনার।
এছাড়া জাকের আলী খেলেন ৬৭ রানের ইনিংস। ১৫৩ বলে ৭টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। গালিব ২৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
ঢাকার পক্ষে ৫৬ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নিয়েছেন শুভাগত। ২টি উইকেট পান সুমন।
Comments