এমন ম্যাচ আগে কখনোই দেখেননি বাংলাদেশের কোচ
ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে ১৬ ওভারে ১৪৮ রানের লক্ষ্য জেনে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বদলে যায় লক্ষ্য। খেলা বন্ধ করে ফের হিসাবনিকাশ শুরু হয়। ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো জানান, জিততে হলে করতে হবে ১৭১ রান। ওই ১৬ ওভারেই। এমন অদ্ভুতুড়ে কাণ্ডে তীব্র হতাশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
মঙ্গলবার নেপিয়ারে বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ডিএলএস পদ্ধতিতে নিউজিল্যান্ড জিতেছে ২৮ রানে। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে তারা।
এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৭.৫ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৩ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। এরপর নামে দ্বিতীয় দফার বৃষ্টি। তাদের ইনিংসে ১২.২ ওভারের পর নেমেছিল প্রথম দফা বৃষ্টি। পরে কিউইরা আর ব্যাটিংয়ে নামেনি। বাংলাদেশ ১৬ ওভারে ১৪৮ রানের লক্ষ্যে নামার পর আচমকা বন্ধ হয়ে যায় খেলা। তাদের সংগ্রহ তখন ১.৪ ওভারে বিনা উইকেটে ১২ রান। ম্যাচ রেফারির কক্ষে তখন বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড উভয় দলের ম্যানেজার। কিছুক্ষণ আলাপচারিতার পর লক্ষ্যটা বেড়ে হয়ে যায় ১৭১!
পরিবর্তিত লক্ষ্য বেশ কঠিন হয়ে যায় বাংলাদেশের জন্য। তারা পৌঁছাতে পারে ৭ উইকেটে ১৪২ রান পর্যন্ত। সৌম্য সরকার ২৭ বলের আগ্রাসী ইনিংসে করেন সর্বোচ্চ ৫১ রান।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘আমি এমন কোনো ম্যাচে আগে কখনো যুক্ত থাকিনি, যেখানে ব্যাটাররা নেমে গিয়েছে, অথচ তারা জানে না ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে লক্ষ্য কত। কেউই জানত না ৫ ওভার শেষে আমাদের কত দরকার কিংবা ৬ ওভারে শেষে কত দরকার (বৃষ্টিতে আবার ৫/৬ ওভারে খেলা বন্ধ হলে)। আমি এমন কোনো ম্যাচের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না যেখানে কেউ জানে না ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে লক্ষ্য কত। আমার মনে হয়, বিষয়টির সুরাহা হওয়া না পর্যন্ত খেলা শুরু করা উচিত হয়নি।’
ডমিঙ্গো যোগ করেন, ‘আমাদের কাছে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, তা হলো, সাধারণত ইনিংস শুরুর এক-দুই বলের মধ্যে তারা লক্ষ্য নির্ধারণ করে ফেলে। কিন্তু তা ঘটেনি। দেখুন, এসব ক্ষেত্রে অজুহাত দেওয়ার কিছু নেই। কিন্তু বিষয়টা আমাদের জন্য খুবই হতাশাজনক। তারা হিসাবনিকাশ শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটিং শুরু তারা বিলম্বিত করতে পারেনি। ওভার কাটাসহ নানা কারণ এতে জড়িত ছিল। তবে এটা খুবই হতাশাজনক।’
Comments