ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে এগিয়ে চট্টগ্রাম
প্রথম দিনেই বড় সংগ্রহের ইঙ্গিতটা দিয়েছিল চট্টগ্রাম বিভাগ। শেষ পর্যন্ত এদিন চার শতাধিক রান করেই থামে দলটি। প্রতিপক্ষে বোনাস পয়েন্ট দিতে চাইলে হয়তো সংগ্রহটা হতে পারতো আরও বড়। তবে তাতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে দলটি। যদিও লড়াই করার ইঙ্গিত দিচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিসও।
মঙ্গলবার কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মূল মাঠে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ৪০২ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে চট্টগ্রাম। আর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান তুলে দিন শেষ করেছে ঢাকা মেট্রো। এখনও ২৭০ রানে পিছিয়ে আছে তারা।
আগের দিনের ৪ উইকেটে ২৮১ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রামের দ্বিতীয় দিনের শুরুটাও খারাপ হয়নি। দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান পিনাক ঘোষ ও শাহাদাত হোসেন এদিন স্কোরবোর্ডে ৪১ রান যোগ করেন। আরাফাত সানির বলে বোল্ড হয়ে থামেন পিনাক। ভাঙে ১০৮ রানের জুটি।
এরপর অবশ্য নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে চট্টগ্রাম। তবে নবম উইকেটে ইরফান হোসেনকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ৩৩ রানের জুটিতে দলের সংগ্রহ চারশ পার করেন নাঈম হাসান। কিন্তু এরপর ইনিংস ঘোষণা করে দেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। মূলত প্রতিপক্ষকে সব উইকেট তুলে নেওয়ার বোনাস পয়েন্ট না দিতেই ইনিংস ঘোষণা করেন তিনি।
আগের দিনই সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া পিনাক শেষ পর্যন্ত খেলেছেন ১৫৯ রানের ইনিংস। ৩০২ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১৪টি চার ও ২টি ছক্কায়। সাহাদাতের ব্যাট থেকে আসে ৫৩ রান। ১২৬ বলে ৩টি চারে এ রান করেন তিনি। নাঈম ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
ঢাকা মেট্রোর পক্ষে ১২০ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন আরাফাত সানি। ২টি উইকেট নেন শহিদুল ইসলাম।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ঢাকা মেট্রোর। দলীয় ১০ রানেই ওপেনার আজমির আহমেদকে হারায় তারা। তবে দ্বিতীয় উইকেটে আরেক ওপেনার জাবিদ হোসেনকে নিয়ে দলের হাল ধরেন শামসুর রহমান। গড়েন ১১৮ রানের দারুণ জুটি। তাতেই লড়াইয়ে ফেরে দলটি।
এরপর শামসুর আউট হলে দ্রুত অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুবকে হারিয়ে ফের চাপে পরে ঢাকা মেট্রো। তবে এক প্রান্ত ধরে রেখেছেন জাবিদ। অপরাজিত ৪৬ রান করে দিন শেষ করেছেন তিনি। তবে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন শামসুর। ১০৭ বলে ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি।
Comments