সাতক্ষীরায় বাঁধ ভেঙে ৪ গ্রাম প্লাবিত

আশাশুনি সদর ইউনিয়নের খোলপেটুয়া নদীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের রিং বাঁধ ভেঙে দোয়ারঘাট ও জেলেখালিসহ চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ছবি: কল্যাণ ব্যানার্জি

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় খোলপেটুয়া নদীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) রিং বাঁধ ভেঙে চারটি গ্রামে শতাধিক বাড়ি প্লাবিত হয়েছে। পানিতে ভেসে গেছে দুই শতাধিক চিংড়ির ঘের।

আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জোয়ারে খোলপেটুয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে দয়ারঘাট এলাকার বাঁধের চারটি জায়গা ভেঙে যায়। উপজেলার হরিশখালি এলাকার বাঁধের অবস্থাও খুবই নাজুক হয়ে পড়েছে। এই বাঁধ ভেঙে গেলে আরও চার-পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হবে।

আশাশুনি সদর ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা পাউবো শাখা কর্মকর্তা রাব্বি হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, হঠাৎ পানি চাপ বৃদ্ধি পাওয়া রিং বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। জোয়ারের পানি কমে গেলেই বাঁধ সংস্কার করা হবে।

প্রতাপনগর ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা পাউবো শাখা কর্মকর্তা আলমগীর কবীর জানান, বাঁধের ভেঙে যাওয়া জায়গায় বস্তা ফেলে পানি আটকানো হয়েছিল। জোয়ারের চাপে বাঁধের কয়েকটি জায়গা দিয়ে পানি উপচে ঢুকেছে। তবে বড় ধরনের কোনো ক্ষতির আশঙ্কা নেই।

সোমবার রাত থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয়রা বাঁধ মেরামতের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুভাষ সরকার জানান, আশাশুনির প্রতাপনগর, আশাশুনি সদর ও শ্রীউলা ইউনিয়নে আম্পানের আঘাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল। গত ১০ মাসে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কার করতে পারেনি পাউবো। কোথাও কোথাও যেনতেন ভাবে রিং বাঁধ দিয়ে লোকালয়ে পানি ঢোকা বন্ধ করা হয়েছিল।

প্রতাপনগর ইউনিয়নের এপিস কলেজের অধ্যক্ষ মুজিবর রহমান জানান, আম্পানের পর পানি উন্নয়ন বোর্ড হরিশখালি এলাকায় বাঁধ সংস্কার করতে বিলম্ব করায় এলাকার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে ওই আধা কিলোমিটার বাঁধ মেরামত করে লোকালয়ে পানি ঢোকা বন্ধ করে। কিন্তু, তারপর প্রতি জোয়ারে ওই বাঁধ ভাঙতে থাকে। এ অবস্থায় সোমবার থেকে খোলপেটুয়া নদীর জোয়ারের চাপে দুই-তিন জায়গায় পানি উপচে লোকালয়ে ঢুকছে।

বাঁধের কোনো এক জায়গা ভেঙে গেলে প্রতাপনগর, কল্যাণপুর, মাদারবাড়িয়া, বন্যতলা, কুড়িকাউনিয়া গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ নতুন করে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করেন তিনি।

যোগাযোগ করা হলে আশাশুনির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হুসাইন খান জানান, উপজেলা সদর ইউনিয়নের দয়ারঘাট এলাকায় বাঁধ ভেঙে ৫০০-৬০০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েকটি চিংড়ি ঘের প্লাবিত হয়েছে।

জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ইউএনও বলেন, ‘বিষয়টি সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। যেসব লোকালয়ে পানি ঢুকছে, সেখানে কাজ শুরু হয়েছে।’

Comments

The Daily Star  | English

Iran strikes back at Israel with missiles over Jerusalem, Tel Aviv

Iran's Supreme Leader accuses Israel of initiating war, vows painful revenge

2h ago