মুকিদুলের তোপে জয়ের পথে রংপুর
তুষার ইমরানের সেঞ্চুরির পর প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহ করতে পারেনি খুলনা। অসাধারণ বোলিংয়ে তাদের আটকে দিয়েছিলেন মুকিদুল ইসলাম। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও জ্বলে উঠলেন তরুণ এ পেসার। তার বোলিং তোপে জাতীয় লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে জয়ের পথে রয়েছে রংপুর বিভাগ।
তবে দারুণ লড়াই করেছিলেন অমিত মজুমদার। সঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন জিয়াউর রহমানকে। কিন্তু মুকিদুলের তোপে পড়ে বাকী সতীর্থরা সে অর্থে সাহায্য করতে পারেননি। ফলে বড় লক্ষ্য ছুঁড়তে পারেনি খুলনা বিভাগ। সাদামাটা লক্ষ্যে সহজ জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছে রংপুর। জিততে হলে আর ১০১ রান করতে হবে তাদের। হাতে রয়েছে সম্পূর্ণ ১০ উইকেট।
বুধবার রংপুরের ক্রিকেট গার্ডেনে খুলনার দেওয়া ১১৭ রানের লক্ষ্যে বিনা উইকেটে ১৬ রান করেছে রংপুর। এদিন নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৯ রানে অলআউট হয় খুলনা। এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে খুলনা ২২১ ও রংপুর ৩৬৪ রান তোলে।
আগের দিনের ১ উইকেট ৪ নিয়ে ব্যাট করতে নামা খুলনার শুরুটা এদিন ভালোই হয়েছিল। তিন নম্বরে নামা ইমরুল কায়েসকে নিয়ে ৪৭ রানের জুটিতে প্রাথমিক চাপ সামলে নেন অমিত মজুমদার। এরপর তৃতীয় উইকেটে নাহিদুল ইসলামকে নিয়ে ৫১ রানের জুটি গড়েন তিনি। কিন্তু এরপর ৭ রানের ব্যবধানে ৩টি উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়ে দলটি। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান তুষার ইমরানকেও হারায় দলটি।
এরপর ষষ্ঠ উইকেটে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে দলের হাল ধরেন অমিত। গড়েন ১২৬ রানের দারুণ জুটি। তাতে বড় লিডের স্বপ্ন দেখেছিল খুলনা। কিন্তু এরপর স্কোরবোর্ডে মাত্র ১ রান যোগ করতে ফের ৩টি উইকেট হারায় তারা। তাতে ১১৬ রানের লিড পায় দলটি।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৯ রানের ইনিংস খেলেন অমিত। ১৬৬ বলে ১৪টি চারের সাহায্যে এ রান করেছেন এ ওপেনার। জিয়া খেলেন ৬৪ রানের ইনিংস। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করতে নেমে ৭টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ইমরুল ৩১ ও নাহিদুল ৩০ রান করেন।
রংপুরের পক্ষে একাই ৬টি উইকেট নিয়েছেন মুকিদুল। প্রথম ইনিংসেও ৬ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। এছাড়া ২টি শিকার মাহমুদুল হাসানের।
১১৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৬ রান সংগ্রহ করে তৃতীয় দিন শেষ করেছে রংপুর। জাহিদ জাভেদ ১৪ ও নবীন ইসলাম ১ রানে ব্যাট করছেন।
Comments