কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দ্র ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ, আগাম বুকিং বাতিল

দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দ্র দুই সপ্তাহের জন্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
Kuakata.jpg
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দ্র দুই সপ্তাহের জন্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় এ ঘোষণা দেন কুয়াকাটা জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী। তিনি জানান, আজ থেকে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে।

এ নির্দেশনার পর কুয়াকাটার সব আবাসিক হোটেল-মোটেল তাদের আগাম বুকিং বাতিল করে দিয়েছে।

গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা প্রশাসকের দরবার হলে করোনা মোকাবিলায় জনসাধারণের সচেতনতার পাশাপাশি সরকার-ঘোষিত ১৮ দফা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসক মতবিনিময় করে এ বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেওয়ার নির্দেশনা দেন।

তিনি বলেন, ‘দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্বিতীয় বারের মতো ক্রমশ বাড়ছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনা রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কারণ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে মানুষ বেড়াতে আসেন। সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আপাতত ১৫ দিন পর্যটনকেন্দ্রটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

জেলা প্রশাসনের এ ঘোষণার পরপরই কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে রাতে সৈকতসহ কুয়াকাটার বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। সেখানে যারা বেড়াতে গেছেন তাদের অবিলম্বে কুয়াকাটা ত্যাগ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ওই এলাকার সব হোটেল, মোটেল ও খাবারের দোকানও বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসনাত মো. শহীদুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘কুয়াকাটার হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জেলা প্রশাসনের এ নির্দেশনা কঠোরভাবে পালনের জন্য বলা হয়েছে।’

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব শরীফ ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা সব হোটেল মালিকদের সরকারের এই ঘোষণা ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছি। পাশাপাশি সব অগ্রিম বুকিং বাতিল করা হয়েছে। যারা বেড়াতে এসেছিলেন তারা ইতোমধ্যে কুয়াকাটা ছাড়তে শুরু করেছেন।’

Comments

The Daily Star  | English

Singapore’s Financial Intelligence Unit seeks information on S Alam Group

The overseas assets of S Alam Group, including those in Singapore, came under scrutiny following recent media reports.

32m ago