সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ
কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিন নৌরুটে চলাচলকারী পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার টেকনাফ থেকে কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে যায়নি।
তবে আজ সকালে কয়েকটি কাঠের তৈরি ইঞ্জিনচালিত ছোট নৌকা নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্য ও স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে টেকনাফ পৌর এলাকার কায়ুকখালী খাল থেকে সেন্ট মার্টিন গিয়েছে।
টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন রুটে চলাচলকারী জাহাজ এফবি বে ক্রুজ’র স্বত্ত্বাধিকারী ও ট্যুর এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টোয়াক) ’র সভাপতি তোফায়েল আহমদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে গতকাল বুধবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাহাজ মালিক ও টোয়াক কর্তৃপক্ষকে সব পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলা হয়। প্রশাসনের এ নির্দেশের আলোকে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন রুটে চলাচলকারী সব জাহাজ চলাচল আজ থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে।’
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের পর্যটন সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার সৈয়দ মুরাদ হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সারাদেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জাহাজ মালিকেরা আজ থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।’
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌরুটে সব পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে অভ্যন্তরীণ যাত্রী পরিবহন ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহনে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।’
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে যাত্রী পরিবহনের জন্য নৌযানগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্র জানিয়েছে, গত বছরের ১২ নভেম্বর থেকে এ নৌপথে পর্যটক পরিবহনের জন্য বিভিন্ন মেয়াদে আটটি জাহাজকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
জাহাজগুলো হলো: গ্রিন লাইন-১, বে ক্রুজ, এমভি পারিজাত, এমভি আটলান্টিক ক্রুজ, এমভি ফারহান ১, কেয়ারি সিন্দাবাদ, কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন ও এমভি শহীদ সালাম।
Comments