ঢাকা-সিলেট ম্যাচ ড্র
৩১০ রানের লক্ষ্য। দুই সেশনের কিছুটা বেশি সময়। কাজটা বেশ দুরূহই ছিল ঢাকা বিভাগের জন্য। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করলে হয়তো সম্ভব ছিল। তবে সে পথে হাঁটেনি তারা। উল্টো এক সময় হারের শঙ্কায় পড়েছিল তারা। তবে পরে দেখে শুনে ব্যাট করে দিন শেষ করলে নিষ্প্রাণ ড্র হয় ম্যাচটি।
বৃহস্পতিবার কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমী মাঠে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৪৫ রান তোলে ঢাকা। পরে ড্র মেনে নেয় দুই দল। এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৮০ রান করেছিল দলটি। অন্যদিকে সিলেট তাদের দুই ইনিংসে করে ৩৭০ ও ২১৯ রান।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটাই ভালো হয়নি ঢাকার। দলীয় ৭ রানেই আউট হন জয়রাজ শেখ। তবে আব্দুল মজিদ ও সাইফ হাসানের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আসে ৪৬ রান। তবে বেশ মন্থর গতিতে। কার্যত জয়ের আশা তখনই শেষ। পরে মজিদ আউট হলে মাহিদুল ইসলাম অংকনকে নিয়ে ৪৭ রানের জুটি গড়েন সাইফ। কিন্তু এ জুটি ভাঙতেই ১৬ রানের ব্যবধানে ৩টি উইকেট হারায় তারা।
দলীয় ১১৬ রানে ৫ উইকেট হারানো দলটি তখন শঙ্কায় পড়ে হারের। কারণ তখনও বাকী ছিল দিনের শেষ সেশনের প্রায় পুরোটাই। তবে শুভাগত হোম ও আরাফাত সানি জুনিয়রের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে কোনো বিপদ হয়নি। ড্র মেনেই মাঠ ছাড়ে দুই দল।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রান আসে সাইফের ব্যাট থেকে। অংকন করেন ২৬ রান। শুভাগত ২০ রানে ও সানি ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন। সবচেয়ে বড় কথা শেষ দিকে দুই ব্যাটসম্যান কোনো উইকেট না হারিয়ে মোকাবেলা করেন ১২৮টি বল। তাতেই ম্যাচ বাঁচাতে পারে দলটি। ৩১ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নিয়েছেন এনামুল হক জুনিয়র।
এর আগে তৃতীয় দিনের ৬ উইকেটে ১৮৩ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা সিলেট বিভাগ এদিন শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে আর ৩৬ রান যোগ করতে পারে। ব্যক্তিগত ৮২ রানে আউট হব আসাদুল্লা আল গালিব। ১৬৪ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। এছাড়া তানজিব হাসান সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান। ঢাকার পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন সুমন খান, নাজমুল ইসলাম অপু, শুভাগত ও সাইফ।
ব্যাটে বলে অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখানো শুভাগত হন ম্যাচ সেরা।
Comments