দ্রুততম মানব-মানবীর খেতাব সেই ইসমাইল-শিরিনেরই
জাতীয় অ্যাথলেটিক্সের পর বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসেও মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন ও শিরিন আক্তারের জয়জয়কার। দ্রুততম মানব ও মানবীর খেতাব জিতে নিয়েছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এই দুই স্প্রিন্টার।
শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সেরা হয়েছেন ইসমাইল ও শিরিন। ছেলেদের ইভেন্টে সোনার পদক জিততে ১০.৫০ সেকেন্ড সময় নেন ইসমাইল। নৌবাহিনীর আবদুল রউফ রুপা (১০.৬০ সেকেন্ড) ও ব্রোঞ্জ জেতেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর নাইম ইসলাম (১০.৭০ সেকেন্ড)।
মেয়েদের ইভেন্টে ১১.৬০ সেকেন্ড সময় নিয়ে সোনার পদক গলায় তুলেছেন শিরিন। সেনাবাহিনীর শরীফা খাতুন রুপা (১১.৭০ সেকেন্ড) ও বিকেএসপির সোনিয়া আক্তার ব্রোঞ্জ (১২.১০ সেকেন্ডে) জেতেন।
দ্রুততম মানব হওয়ার পর ইসমাইল বলেছেন, ‘বাংলাদেশে গেমসে এটা আমার প্রথম স্বর্ণ। সবমিলিয়ে স্প্রিন্টে চতুর্থ স্বর্ণ। ২০১৩ সালের গেমসে লং জাম্পে রৌপ্য জিতেছিলাম।’
তিনি যোগ করেছেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও এই পারফরম্যান্সে আমি খুশি। অনুশীলন কম হলেও দ্রুততম মানব হতে পেরেছি। এটাতে আমি তৃপ্ত।’
তবে টাইমিং খুব একটা ভালো হয়নি ইসমাইলের। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি দৌড় শেষ করেছিলেন ১০.২০ সেকেন্ড। এ নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘টাইমিং ভালো না করার কারণ হলো, ঠিকমতো অনুশীলন করতে পারিনি। এখন যেটা হচ্ছে, করোনার কারণে একবেলা অনুশীলন করতে পারছি। করোনা শেষ হলে আশা করি টাইমিংটা ভালো দেখতে পাবেন।’
২০১৩ সালের অষ্টম বাংলাদেশ গেমসে নাজমুন নাহার বিউটির কাছে হেরে রুপা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল শিরিনকে। এবার তিনি সেই আক্ষেপ ঘুচিয়ে পূরণ করেছেন স্বপ্ন।
দ্রুততম মানবী শিরিন বলেছেন, ‘বাংলাদেশ গেমসে এটা আমার প্রথম স্বর্ণ জয়। এর আগে অষ্টম বাংলাদেশ গেমসে বিউটি আপার কাছে হেরে দ্বিতীয় হয়েছিলাম। আমার জয়ের পেছনে অবদান বাংলাদেশ নৌবাহিনী, ফেডারেশন ও বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ)। আমি বিকেএসপিতে অনুশীলন করি। যত রকম সুযোগ-সুবিধা দরকার, সব তারা আমাকে করছে।’
তিনি যোগ করেছেন, ‘আমি টানা ১২ বার দ্রুততম মানবী হয়েছি। এটাই রেকর্ড বাংলাদেশের।’
Comments