লকডাউন: রাজশাহীতে দোকান মালিক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ

দোকান মালিক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ। ছবি: স্টার

লকডাউনে দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন রাজশাহী শহরের দোকান মালিক-কর্মচারীরা।

আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত তারা এই বিক্ষোভ করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে শহরের দোকান মালিক-কর্মচারীরা সড়ক আটকে বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করে। পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে বুঝিয়ে বলেন যে, আজ বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক করা হবে। বৈঠকের আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভকারীরা আজকের মতো কর্মসূচি সমাপ্তি ঘোষণা করেন। কিন্তু, আজকের বৈঠকে সমাধান না হলে আগামীকালও তারা একইভাবে বিক্ষোভ করবেন বলেও জানান।

রাজশাহীর ব্যবসায়ীদের সংগঠন ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমান সজন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গত লকডাউনে আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে, সেটাই এখনো কাটিয়ে ওঠা যায়নি। এখন ব্যবসার এই মৌসুমে যদি দোকান একটা দিনও বন্ধ থাকে, তাহলে অনেক লোকসান হয়ে যাবে। ঈদকে সামনে রেখে আমরা ইতোমধ্যে ব্যাংকসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে হাজারো টাকা ঋণ নিয়ে দোকানে জিনিসপত্র উঠিয়েছি। এখন দোকান বন্ধ থাকলে আমাদের পুরো টাকাটাই ক্ষতি। কাজেই সীমিত আকারে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলা রাখার দাবিই সরকারের কাছে জানাচ্ছি।’

দোকান মালিক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ। ছবি: স্টার

রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু আসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘লকডাউনে সরকার-ঘোষিত যে নির্দেশনাগুলো আছে, সেগুলো সবাইকেই মানতে হবে। সবাই যাতে সেগুলো মানে, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করব।’

‘আজ ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হবে। সেখানে আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। তাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিয়ে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব। এরপর সেখান থেকে যে নির্দেশনা আসবে, তা সবাইকেই মানতে হবে’, যোগ করেন আবু আসলাম।

আরও পড়ুন:

‘স্বাস্থ্যবিধি মানবো, দোকানপাট খুলবো’ নিউমার্কেট এলাকায় বিক্ষোভ

বন্ধের নির্দেশনার প্রতিবাদে নিউমার্কেট এলাকায় দোকান মালিক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ

কোভিড-১৯ প্রতিরোধে নিষেধাজ্ঞা: যা করা যাবে, যা করা যাবে না

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago