গণপরিবহন বন্ধ, বিকল্প পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া

করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ আছে। কিন্তু, অনেক মানুষকে কাজের প্রয়োজনে বাইরে যেতে হচ্ছে। এজন্য তাদের বিকল্প পরিবহন ব্যবহার করতে হচ্ছে। কিন্তু, তাতে গুনতে হচ্ছে তিন থেকে চার গুন অতিরিক্ত ভাড়া। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষকে।
আজ সোমবার দুপুরে বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে সরেজমিনে দেখা যায়, বাসগুলো টার্মিনালের ভিতরেই দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু, রাস্তা বাসের অপেক্ষায় আছেন যাত্রীরা। কেউ কেউ গাড়ি না পেয়ে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে রওনা দিচ্ছেন। কেউ কেউ রিকশা ভ্যানে করে যাচ্ছেন। কিন্তু, এসব বিকল্প পরিবহনের জন্য অতিরিক্ত গুনতে হচ্ছে তাদের।
আজ বাগেরহাটের বেশিরভাগ দোকান বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। রাস্তায় যাদের দেখা গেছে তাদের সবার মুখে মাস্ক ছিল।
বাসের অপেক্ষায় থাকা কচুয়া উপজেলার নাজিবুল বলেন, ‘আমার বোন খুলনা আড়াইশ শয্যা হাসপাতালে (খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল) ভর্তি আছেন। সকালে বের হয়ে খুব কষ্টে বাসস্ট্যান্ডে এসেছি। কিন্তু, এখানে এসে দেখি কোনো পরিবহন নেই। ট্রাক এবং পিকআপে করে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। তবে, কোনো কাজ হচ্ছে না। এভাবে বিপদগ্রস্তদের জন্য বিকল্প পরিবহনের ব্যবস্থা থাকা উচিত।’
বাগেরহাট থেকে মোটরসাইকেলে মোরেলগঞ্জ যাচ্ছিলেন রহমান গাজী। তিনি বলেন, ‘সাধারণত আমি বাগেরহাট থেকে মোটরসাইকেলে মোরেলগঞ্জ যাই দুইশ থেকে আড়াইশ টাকায়। তবে, আজ লকডাউনের কারণে মোটরসাইকেলের চাহিদা বেড়েছে। আজ আমাকে পাঁচশ টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে।’
নজির, শহিদুল ও কুদ্দুসসহ কচুয়ার সাইনবোর্ড বাজারের কয়েকজন রিকশাভ্যান চালক জানান, লকডাউনের কারণে ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত তেমন উপার্জন হয়নি। বাস না চললে যাত্রীও আসেনা। একদিকে এনজিও’র কিস্তি দেওয়া, অন্যদিকে পরিবারের ব্যয় মেটানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তারা।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আ ন ম ফয়জুল হক বলেন, ‘আমরা করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করছি। দরিদ্ররা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়ে আমরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নেব।’
সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন ও মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
Comments