হেফাজতের কাজ সমর্থন করি না, মিছিল করার অধিকারকে সমর্থন করি: ডা. জাফরুল্লাহ

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘হেফাজতের কর্মকাণ্ড কোনভাবেই সমর্থন করি না। তবে তাদের মিটিং মিছিল করাটাকে সমর্থন করি। এটা তাদের মৌলিক অধিকার।’
ছবি: সংগৃহীত

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘হেফাজতের কর্মকাণ্ড কোনভাবেই সমর্থন করি না। তবে তাদের মিটিং মিছিল করাটাকে সমর্থন করি। এটা তাদের মৌলিক অধিকার।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের সহিংস প্রতিবাদে হতাহতের ঘটনা সরেজমিনে পরিদর্শনের পর ঘটনার প্রত্যক্ষ বিবরণ তুলে ধরে তিনি এই কথা বলেন।

আজ দুপুরে ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেজর হায়দার মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমরা ১৪ সদস্যের একটি দল ঘটনার স্থান পরিদর্শন করেছি। সেখানে স্থানীয় জনগণ, আওয়ামী লীগ, পুলিশ ও হেফাজতের বক্তব্য শুনেছি এবং দেখেছি।’

তিনি বলেন, রেল স্টেশনে আগুনের ঘটনা সাত দিন আগে ঘটলেও ৩ এপ্রিল আমরা সেখানে গিয়ে দেখেছি আগুন জ্বলছে। এটা কেন? এটা কাকে দেখাতে চান? তাহলে এটা কি হেফাজত ইসলাম নাকি জনগণ নাকি অন্য কোনো তৃতীয় রাষ্ট্র এখানে জড়িত।

তিনি আরও বলেন, রাজনীতি এখন আমলা ও ব্যবসায়ীদের হাতে চলে গেছে। রাজনীতি রাজনীতিবিদদের করতে দেন। সেখানকার এমপি একজন আমলা, তার কোনো রাজনৈতিক কর্মী নেই। তার আছে পুলিশ ও হেলমেট বাহিনী।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী সংবাদ সম্মেলনে প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে তিনটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো—১. নিহত আহতদের তালিকা প্রকাশ করে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও সঠিক বিচার ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ২. বায়তুল মোকাররম থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্ত পুরো ঘটনার বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করতে হবে। তদন্ত কমিটিতে নাগরিকদের বিভিন্ন পক্ষের অংশগ্রহণ থাকতে হবে। ৩. অজ্ঞাতনামা হিসেবে ২০ হাজারের অধিক মানুষের নামে যে মামলা দেওয়া হয়েছে সেই সব মামলার নামে হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

গণফোরামের নেতা ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, মানুষ এখনো কথা বলতে পারে না। অজ্ঞাতনামা মামালা দিয়ে মানুষকে আটকানোর সুযোগ হয়েছে। সবাইকে এই ধরনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, একটি শিশুর শরীরে গুলিবিদ্ধ অথচ চিকিৎসা নিতে যেতে পারছে না। এই ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন— রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপিক দিলারা চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফত, রাষ্ট্রচিন্তার অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, গণস্বাস্থ্যের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, নারীর জন্য সুশাসনের নির্বাহী পরিচালক রুবী আমানউল্লাহ, পানি বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক ও ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান প্রমুখ।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago