সাংবাদিকের বাড়িতে হেফাজতের হামলা, মামুনুলের কাছে ক্ষমা না চাওয়ায় মারধর
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ‘অবরুদ্ধ হওয়ার’ ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহে যাওয়ায় এক সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করেছেন হেফাজত নেতা-কর্মীরা। এসময় হেফাজত লোকজন ওই সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ মঙ্গলবার ভোররাতে সোনারগাঁও উপজেলার ভাটিরচর এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাতে সোনারগাঁও থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক হাবিবুর রহমান (৪০)।
হাবিবুর রহমান চ্যানেল ‘এস’ বাংলা টেলিভিশনের সোনারগাঁ প্রতিনিধি। তিনি বর্তমানে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
লিখিত অভিযোগে হাবিবুর রহমান উল্লেখ করেন, সোনারগাঁর রয়েল রিসোর্টে গত ৩ এপ্রিল বিকালে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে স্থানীয়রা অবরুদ্ধ করে রাখেন। সেসময় স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে তিনিও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনায় ওই সময় থেকেই হেফাজতের লোকেরা তাকে মারধরের হুমকি দিয়ে আসছিল। সোমবার রাতে ভাটিরচর গ্রামে নিজ বাসায় ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় লাঠিসোটা নিয়ে হেফাজত নেতা-কর্মীরা তার বাড়িতে হামলা করে। এসময় তাকে মারধর করে ঘরের বাইরে নিয়ে আসা হয়। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মামুনুলের কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। কথা মতো ক্ষমা না চাওয়ায় তাকে মারধর করে সড়কের পাশে নিয়ে যায় হেফাজত কর্মীরা। সেখানেও তাকে কয়েক দফা মারধর করা হয়।
আহত সাংবাদিক হাবিবুর রহমানের ছোট ভাই মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘ভাই ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। রাতে হেফাজতের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে বাড়িতে হামলা করে। টেনেহিঁচড়ে ভাইকে ঘরের বাইরে নিয়ে মারধর করে। পরবর্তীতে পুলিশ এসে উদ্ধার করে তাকে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।’
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
Comments