সিভিল সার্জনকে না জানিয়ে প্রণোদনার তালিকা পাঠানোর অভিযোগ

ফাইল ফটো: স্টার

সিভিল সার্জনকে না জানিয়ে করোনা রোগীদের সেবায় না থাকা চিকিৎসকদের নাম যোগ করে প্রণোদনার জন্য তালিকা পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে বান্দরবান সদর হাসপাতালের সাবেক আবাসিক মেডিকেল অফিসারের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. অং শৈ প্রু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার অগোচরে প্রাক্তন আরএমও ডা. মো জসিম উদ্দিন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের সই দিয়ে এই তালিকা তৈরি করেছিলেন।'

'সিভিল সার্জনের দায়িত্বের পাশাপাশি বান্দরবান সদর হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বেও আমি নিয়োজিত। কিন্তু আরএমও হয়ে কীভাবে তত্ত্বাবধায়কের সই করল তা আমরা তদন্ত করছি,' বলেন তিনি।

পরবর্তীতে এই তালিকা কিভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হলো তাও তদন্তে আসা উচিত বলে জানান সিভিল সার্জন।

করোনা পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিজেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন সদর হাসপাতালের ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. সমীরণ নন্দী। প্রণোদনা তালিকায় তার নাম না আসা প্রসঙ্গে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এটা খুবই দুঃখজনক যে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবায় নিয়োজিত থাকা আমার মতো অনেকেই প্রণোদনার আওতায় আসেননি।'

তিনি বলেন, 'যিনি এ কাজটি করেছেন সেটি কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।'

২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবালয় সম্মানী খাতে বরাদ্দ করা ১০০ কোটি টাকার অব্যয়িত অর্থ থেকে ১৪টি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের দুই মাসের বিশেষ সম্মানী দেওয়ার জন্য নয় কোটি ২০ লাখ ৯০ হাজার ৪৩০ টাকা দিতে অথরাইজেশন জারি করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।

এই তালিকায় বান্দরবান সদর হাসপাতালের ১৬ জন চিকিৎসক ও ৩৮ জন অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী আছেন।

করোনা রোগীদের সেবা দেওয়া আরেক ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. নাসির উদ্দিন জানান, তালিকায় থাকা ১৬ জন চিকিৎসকের মধ্যে ডা. জসীম ও তার স্ত্রী ডা. তাফনিন ফারহানাসহ সাত জনের কোনও করোনা ডিউটি ছিল না।'

যোগাযোগ করা হলে সাত জনের একজন ডা. নাজনীন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিষয়টি নিয়ে আমি খুব বিব্রতকর অবস্থায় আছি।

তবে, ডা. মো. জসিম উদ্দিন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, 'সিভিল সার্জন যদি এটি বলেন তাহলে তিনি এটি ভুল বলেছেন। অফিসের নির্দেশে সিভিল সার্জনের পক্ষে আমি তত্ত্বাবধায়কের সই করেছিলাম।'

Comments

The Daily Star  | English

ICT investigators submit 'genocide' case report against Hasina, ex-ministers

The charges stem from the violent crackdown during the July 2024 mass uprising

8m ago