শুভাগতকে ডাকার ব্যাখ্যায় যা বললেন প্রধান নির্বাচক
বাংলাদেশের হয়ে শুভাগত হোম সবশেষ মাঠে নেমেছিলেন ২০১৬ সালের অক্টোবরে। প্রায় পাঁচ বছর পর তাকে ডাকা হয়েছে শ্রীলঙ্কা সফরের প্রাথমিক টেস্ট দলে। ৩৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার কেন এতদিন পর বিবেচনায়? প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু দিয়েছেন ব্যাখ্যা।
চলতি মাসে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে শ্রীলঙ্কার মাটিতে দুটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২১ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি স্পিন বোলিংয়ের সামর্থ্য থাকায় স্কোয়াডে রাখা হয়েছে শুভাগতকে। মিনহাজুল জানিয়েছেন, তাকে বিবেচনা করা হয়েছে ব্যাটিং প্রধান অলরাউন্ডার হিসেবে।
শুভাগতর মূল শক্তি তার ব্যাটিং। পাশাপাশি অফ স্পিন বোলিংয়ে উইকেট নিতে পটু তিনি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঘরোয়া ক্রিকেটে আগ্রাসী ব্যাটিংয়েও নজর কেড়েছেন তিনি।
অথচ জাতীয় দলে যখন শুভাগত খেলতেন (২০১৪ সালের পরবর্তী সময়ে), তখন তাকে অফ স্পিনার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা হয়েছিল। টেস্টে তার ব্যাটিংয়ের সুযোগ মিলত সাত-আট নম্বরে। কিন্তু সেই ভাবনা কাজে লাগেনি। উল্টো বিবর্ণ পারফরম্যান্সে দল থেকেই বাদ পড়েন তিনি। শুভাগত নিজেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিয়ে। এবার অবশ্য নির্বাচকরা তার সত্যিকারের ভূমিকা ও দক্ষতা বিবেচনায় নিয়েছেন।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল বলেছেন, ‘যদিও শুভাগত অনেক দিন পর ফিরে এসেছে, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সে একজন নিয়মিত পারফর্মার। তাকে আমরা ব্যাটিং অলরাউন্ডার হিসেবে বিবেচনা করেছি। তবে তার অফ-স্পিন বেশ কার্যকর এবং স্পিন বিভাগে আমাদের জন্য আরেকটি বিকল্প হতে পারে।’
সম্প্রতি স্থগিত হওয়া জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) ছন্দে ছিলেন শুভাগত। ঢাকা বিভাগের হয়ে খেলেন দুটি ম্যাচ। ব্যাট হাতে ১ সেঞ্চুরিসহ ১৬৩ রান করার পাশাপাশি বল হাতে নেন ৭ উইকেট। চার ইনিংসেই তিনি খেলেন ছয় নম্বরে। সিলেট বিভাগের বিপক্ষে জয় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ম্যাচসেরার পুরস্কারও জেতেন তিনি।
২০১১ সালের অগাস্টে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে অভিষেক হয়েছিল শুভাগতর। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাত্র ৮ টেস্ট, ৪ ওয়ানডে ও ৫ টি-টোয়েন্টি খেলতে পেরেছেন তিনি। ঢাকায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে শেষবার বাংলাদেশের হয়ে খেলেছিলেন তিনি।
Comments