ভিলিয়ার্সের মার শেষ রাতে!

 AB de Villiers

গত নভেম্বরে আইপিএলেই শেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচটা খেলেছিলেন। মাঝে আর কিছু নেই।  কিন্তু এবিডি ভিলিয়ার্সকে দেখে কে বলবে এতটা লম্বা সময় পর আবার খেলতে নেমেছিলেন তিনি। বয়স পেরিয়েছে ৩৭, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়েছেন তাও তিন বছর আগে। কিন্তু আইপিএলের এবারের আসরের প্রথম ম্যাচে ভিলিয়ার্স আবার দেখালেন তিনি এখনো অফুরন্ত, তরতাজা, উদীপ্ত।

চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ১৬০ রান তাড়ায় এক পর্যায়ে ম্যাচ প্রায় হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। ১২২ রানে পড়ে গিয়েছিল ৬ উইকেট। ক্রিজে স্বীকৃত ব্যাটসম্যান বলতে কেবল ভিলিয়ার্স। ২৭ বলে ৪৮ রান করে ওখান থেকেই খেলা জিতিয়েছেন তিনি।

তখন চলছে শেষ ৪ ওভারের খেলা, ওভারপ্রতি দরকার ১০ রানেরও বেশি। জাসপ্রিট বুমরাহ ছিলেন তেতে। কিন্তু ভিলিয়ার্স তারচেয়ে বেশি। বুমরাহকেই টার্গেট করলেন। ইয়র্কারকে নিচু ফুলটস বানালেন, লেন্থ পড়লেন আগে, সহজ হয়ে গেল খেলা। শেষ ওভারে দরকার ছিল ৭ রান। ২ রান নিতে গিয়ে তিনি রান আউটে ফিরেছিলেন। শেষ দুই বলে ২ রান অবশ্য মোহাম্মদ সিরাজ, হার্শাল প্যাটেলরা তুলে নেন নিশ্চিন্তে। বিরাট কোহলির দল জিতে যায় ২ উইকেটে।

ম্যাচ শেষে ভিলিয়ার্স জানান, উইকেটের কারণে রান তাড়া ছিল বেশ কঠিন, ‘দুর্দান্ত এক ম্যাচ হলো। আমরা জানতাম কাজটা সহজ হবে না। সময়ের সঙ্গে উইকেট কঠিন হয়ে পড়ছিল। শেষ পর্যন্ত থাকলে ম্যাচ বের করা সম্ভব এই বিশ্বাস ছিল।’

এদিন বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলতে নেমে ভাল করেছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও। ২৮ বলে তিনি করে যায় গুরুত্বপূর্ণ ৩৯ রান। এবার দলের সমন্বয় নিয়েও খুশি এবি, ‘তার (ম্যাক্সওয়েল) সঙ্গে খেলতে পারা সম্মানের। এসব খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলতে ভালোবাসি, ম্যাচ জিততে ভালোবাসি। ড্যান ক্রিশ্চিয়ানও আছে। দারুণ সমন্বয়।’

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago