চাঁদপুরে ব্যাংকের নিরাপত্তা কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা, ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

মিরপুরে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ২ শ্রমিকের মৃত্যু
প্রতীকী ছবি। স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

টাকা ধার চেয়ে না পেয়ে চাঁদপুরে একটি ব্যাংকের নিরাপত্তা কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে আট জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গতকাল রাতে নিহতের বড় ভাই অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মো. আব্দুল হক খান মিন্টু চাঁদপুর সদর মডেল থানায় এই মামলা করেন।

নিহত মো. সুমন খান (৩৫) রঘুনাথপুর খান বাড়ির মৃত আব্দুল কাদির খানের ছেলে। তিনি চাঁদপুর শহরে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের নিরাপত্তা কর্মী ছিলেন।

মামলার বাদী আব্দুল হক খান মিন্টু জানান, গত ৫ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টার দিকে সুমনের কাছে টাকা ধার চান একই এলাকার গাজী বাড়ির দেলায়ার গাজীর ছেলে নাজমুল গাজী। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। সেসময় স্থানীয়রা তাদের শান্ত করে বিদায় করে দেন। এর দেড় ঘণ্টা পর নাজমুল গাজীসহ বেশ কয়েকজন যুবক মিলে সুমনকে ওয়াপদা রাস্তার ওপর একা পেয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। গুরুতর আহত সুমনকে উদ্ধার করে প্রথমে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল ও পরে শহরের মিডল্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শুক্রবার সকালে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

মিন্টুর দাবি নাজমুলের নেতৃত্বে মোস্তফা হাজীর ছেলে জিহাদ হাজী, খোকন গাজীর ছেলে তামিম, বাচ্চু গাজীর ছেলে তোফায়েল, সাজু গাজীর ছেলে সাগর, মিজান গাজীর ছেলে সুফিয়ান, জাহাঙ্গীর বেপারীর ছেলে লিমন বেপারীসহ বেশ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে সুমনের ওপর অতর্কিতে হামলা চালান।

ঘটনার খবর পেয়ে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) স্নিগ্ধা সরকার, চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন কান্তি বড়ুয়াসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা নিহত সুমনের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

Comments

The Daily Star  | English

Americans not yet ready for their first woman president

For the second time in eight years, a woman has won the Democratic nomination for US president, only to come up short in a campaign where gender was a central issue

9m ago