করোনার অজুহাতে কওমি মাদ্রাসা বন্ধের ষড়যন্ত্র তৌহিদী জনতা মেনে নেবে না: বাবুনগরী
আগামী ২৯ মে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনের ডাক দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।
আজ রোববার কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক এই ধর্মীয় সংঘটনের কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীলদের এক বিশেষ জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আজ সকাল ১১টায় দারুল উলুম হাটহাজারী মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বাবুনগরী বলেন, ‘করোনার অজুহাতে দেশের ঐতিহ্যবাহী কওমি মাদ্রাসা বন্ধ করার ষড়যন্ত্র দেশের তৌহিদী জনতা মেনে নেবে না এবং লকডাউনের নামে শরীয়তবিরোধী কোনো বিধি-নিষেধ আরোপ করা যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে চাই, আমাদের শান্তিপূর্ণ হরতাল চলাকালীন কারা তাণ্ডব চালিয়েছিল? কারা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে, নিশ্চয়ই সেখানকার সিসি ক্যামেরাগুলোতে ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তির ব্যবস্থা করুন। কিন্তু নিরীহ আলেম, ওলামা, মাদরাসাছাত্র ও তৌহিদী জনতাকে হয়রানি করবেন না। অবিলম্বে গণগ্রেপ্তার বন্ধ করুন। মিথ্যা ও হয়রানিমুলক মামলা প্রত্যাহার করুন। যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অবিলম্বে নিঃশর্তে মুক্তি দিন।’
বাবুনগরী বলেন, ‘গত ২৬ মার্চ হেফাজতের কোনো কর্মসূচি ছিল না। কিন্তু ঢাকা বায়তুল মোকাররম মসজিদে মুসল্লিদের ওপর পরিকল্পিতভাবে পুলিশ ও সরকার দলীয় হেলমেট বাহিনী কর্তৃক আক্রমণের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষুব্ধ জনতা মিছিল বের করে।’
তিনি বলেন, ‘হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মিছিল বের হলে পুলিশ বিনা উস্কানিতে গুলি করে পাঁচ জনকে শহীদ করে। এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম ২৭ মার্চ বিক্ষোভ ও ২৮ মার্চ শান্তিপূর্ণ হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করে। কিন্তু হেফাজতের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ২১ জনকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ ও সরকার দলীয় ক্যাডার বাহিনী।’
বাবুনগরী বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, হেফাজত কোনো তাণ্ডব চালায়নি বরং ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের সন্ত্রাসীদের দিয়ে গুপ্ত হামলার তাণ্ডব চালিয়ে রাজনৈতিকভাবে এখন হেফাজতকে দোষারোপ করা হচ্ছে।’
সরকারের লোকজন এবং কতিপয় ইসলামবিদ্বেষী মিডিয়া হেফাজতের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি নিয়ে মিথ্যাচার করছে বলেও দাবি করেন তিনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের নায়েবে আমীর হাফেজ তাজুল ইসলাম, আব্দুল আওয়াল, মাওলানা জুনায়েদ আল-হাবীব ও মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী প্রমুখ।
Comments