এলপিজির দাম কমলো
ভোক্তা-পর্যায়ে এলপিজির দাম কমিয়ে নতুন খুচরা মূল্য নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
নতুন নির্ধারিত দাম অনুযায়ী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্যে এলপিজির প্রতিটি ১২ কেজি সিলিন্ডারের খুচরা মূল্য হবে ৯৭৫ টাকা এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্যে এলপিজির প্রতিটি সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের খুচরা মূল্য ৫৯১ টাকা।
এর আগে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এলপিজির প্রতিটি ১২ কেজি সিলিন্ডারের খুচরা বাজারমূল্য ছিল ১,০৫০ থেকে ১,১৫০ টাকা। সরকারি প্রতিষ্ঠানের সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের খুচরা মূল্য ছিল ৬০০ টাকা।
আজ সোমবার সকালে কমিশনের ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ সংক্রান্ত নোটিশ কমিশনের ওয়েবসাইটেও দেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি বছর এলপিজির মূল্য নির্ধারণ করার কথা থাকলেও কমিশন ২০০৯ সালের পর মূল্য নির্ধারণ করেনি।
২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর কমিশন গ্রাহকদের জন্যে বিদ্যুৎ ও প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে আসছে।
কমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভোক্তা-পর্যায়ে এলপিজি’র মূল্যহার নির্ধারণ/পুনঃনির্ধারণ বিষয়ে রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিভাগের ২০২০ সালের ২৫ আগস্টের আদেশ অনুযায়ী বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন ২০০৩ অনুযায়ী কমিশন গণশুনানির কার্যক্রম গ্রহণ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি এলপিজি মজুতকরণ ও বোতলজাতকরণের জন্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এলপি গ্যাস লিমিটেড (এলপিজিএল) ভোক্তা-পর্যায়ে এলপিজি’র মূল্যহার এবং বেসরকারি এলপিজি মজুতকরণ ও বোতলজাতকরণের লাইসেন্সিগুলো আমদানিকৃত এলপিজি’র ভোক্ত-পর্যায়ে মূল্যহার নির্ধারণ/পুনঃনির্ধারণের জন্যে কমিশনের প্রস্তাব পেশ করে।
বিস্তারিত পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ শেষে কমিশন এলপিজি’র মূল্যহার নির্ধারণ করেছে বলেও বিজ্ঞাপিতে জানানো হয়েছে।
গণশুনানি হয়েছিল গত ১৪ জানুয়ারি। গণশুনানির ৯০ দিনের মধ্যে দাম নির্ধারণের বাধ্যবাধকতার কারণে আজ এই ঘোষণা এলো।
Comments