‘সীমিত প্রস্তুতি’ নিয়ে কঠিন পরীক্ষা দিতে শ্রীলঙ্কায় গেল বাংলাদেশ দল
দলের অনেকের লাল বলের অনুশীলন ঘাটতির অস্বস্তি আড়াল করেননি মুমিনুল হক। তিনিসহ কয়েকজন জাতীয় লিগে চার দিনের ম্যাচ খেললেও ওই প্রস্তুতিও যে খুব আদর্শ সেই দাবিও জোরালো করতে পারেননি। এমন বাস্তবতায় খারাপ সময়ে থাকা বাংলাদেশ আরেকটি টেস্ট সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কায় গেল।
সোমবার (১২ এপ্রিল) ১২টা ৪৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ভাড়া করা উড়োজাহাজে চেপে রওনা দেন ক্রিকেটাররা। কোভিড পরিস্থিতির কারণে বড় বহর নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। ক্রিকেটারই আছেন ২১ জন। সাপোর্ট স্টাফ, কর্মকর্তা মিলিয়ে আছেন আরও ২০ জন।
৪১ সদস্যের বাংলাদেশের দলের টিম লিডার হিসেবে আছেন বোর্ড পরিচালক ও বিসিবির গেম ডেভোলাপমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন। অপারেশন্স ম্যানেজার হিসেবে এই সফরে দলের সঙ্গে আছেন সদ্য বিসিবিতে যোগ দেওয়া সাবেক ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফীস।
আরও পড়ুন - ‘বলব না যে খুব ভালো প্রস্তুতি হয়েছে’
বাংলাদেশকে বহনকারী বিমান সরাসরি যাবে কলম্বোয়। নেমেই ক্রিকেটাররা যাবেন নেগোম্বোতে। সেখানে টিম হোটেলে সবাইকে তিনদিন ঘরবন্দি কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এরপর হবে এক দফা করোনাভাইরাস পরীক্ষা। কোয়ারেন্টিন থাকবে পরের দুদিনও। তবে কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এলে অনুশীলনের সুবিধা পাবেন ক্রিকেটাররা।
অনুশীলনের ধাপ হিসেবে ১৭ ও ১৮ এপ্রিল একটি দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ আছে বাংলাদেশের। তবে লঙ্কান কোন দল নয়। ক্রিকেটাররা ম্যাচ খেলবেন নিজেরা ভাগাভাগি করে।
২১ এপ্রিল পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট, ২৯ এপ্রিল একই ভেন্যুতে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট।
শ্রীলঙ্কা যাওয়ার আগের দিন অধিনায়ক মুমিনুল হক গণমাধ্যমে জানান, নিউজিল্যান্ডে সীমিত সংস্করণের সিরিজে ব্যস্ত থাকায় দলের অনেকের লাল বলে প্রত্যাশিত অনুশীলন হয়নি। টেস্ট বিশেষজ্ঞ কয়েকজন জাতীয় লিগে খেলেছেন দুটি চারদিনের ম্যাচ। কঠিন সিরিজের আগে প্রস্তুতি বলতে এটুকুই।
সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশড হয় বাংলাদেশ। আর অপরদিকে শ্রীলঙ্কা জেসন হোল্ডারসহ আরও শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে তাদের দেশে গিয়ে টেস্ট সিরিজ ড্র করে ফিরেছে। গত ৯ টেস্টের আটটিতেই হারা বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল তাই জানেন চ্যালেঞ্জটা এবার কত কঠিন, ‘আপনারা সব সময়ই জানেন শ্রীলঙ্কা কিন্তু দেশের মাটিতে খুবই ভালো দল। জিনিসটা আমাদের জন্য সহজ হবে না, অনেক চ্যালেঞ্জিং হবে। আমরা এখন যে অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছি এখান থেকে বের হতে ওই চ্যালেঞ্জটাকে নিতে হবে। আর এই চ্যালেঞ্জটা পার করে টেস্ট দলের একটা ভালো ফল করতে হবে।’
অবশ্য সোমবার যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে বেশ আশাবাদী শোনালো টিম লিডার খালেদ মাহমুদের কন্ঠ, ‘কন্ডিশনটা আমরা জানি ওখানে এখন গরম থাকে বেশি। উইকেটটা ভালো থাকে। শ্রীলঙ্কার কন্ডিশনের শ্রীলঙ্কা বেশ শক্ত প্রতিপক্ষ, কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি আমরা স্কিলের দিক থেকে পিছিয়ে নেই, ভালো দল। আমরা যদি আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারি, প্রক্রিয়াটা ঠিক রাখতে পারি, তবে আশা করি ভালো করব।’
Comments