দক্ষিণ আফ্রিকার ৫ নারী ক্রিকেটারের দেশে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা

সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সেখানকার ল্যাবে গতকাল রাতে ৪৩ জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ আসে। তারমধ্যে পাঁচজন প্রোটিয়া নারী দলের সদস্য
বিমানবন্দরে দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং নারী ক্রিকেট দল। ছবি: বিসিবি

বুধবার থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের কারণে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও বন্ধ। দেশে ফেরার তাড়ায় তাই শেষ ওয়ানডে বাতিল করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা নারী ইমার্জিং দল। কিন্তু এরপরও হয়েছে বিপত্তি। দলের পাঁচ ক্রিকেটার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সেখানকার  ল্যাবে গতকাল রাতে ৪৩ জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ আসে। তারমধ্যে পাঁচজন প্রোটিয়া নারী দলের সদস্য। তারা হলেন- লিয়া জনস, সিনালাে জাফটা, মাতসিপি মারসিয়া লেটসালাে, নবােলুমকো বেনেতি ও রবেইন সিয়ারলে। তাদের আক্রান্তের খবর নিশ্চিত করেছেন বোর্ড পরিচালক ও বিসিবি নারী উইংসের চেয়ারম্যান শফিউল আলম নাদেলও। 

সিরিজ শেষ করে সোমবার বাংলাদেশ বিমানের একই ফ্লাইটে সিলেট থেকে ঢাকা আসেন দক্ষিণ আফ্রিকার নারী ক্রিকেটাররা। আসার আগে সকালে সিলেটে কোভিড-১৯ পরীক্ষার নমুনা দিয়ে এসেছিলেন তারা। রাতে তারা ঢাকায় অবস্থানকালে পাঁচ ক্রিকেটারের ফল পজিটিভ আসে। 

মঙ্গলবার ভোর ৪টায়, দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে যাত্রা করার কথা ছিল তাদের। কিন্তু করোনা আক্রান্ত হওয়ায় এই পাঁচ ক্রিকেটার ফ্লাইট ধরতে পারেননি। তাদেরকে ঢাকায় হোটেলে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। আরেক দফা পরীক্ষায় নেগেটিভ না আসা পর্যন্ত আইসোলেশনেই থাকতে হবে তাদের। 

এদিকে আগামীকাল (১৪ এপ্রিল) থেকে বাংলাদেশে শুরু হচ্ছে এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউন। এতে বন্ধ থাকবে সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। লকডাউন পরে আরও বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে এই নারী ক্রিকেটারদের দেশে ফেরা কবে হতে পারে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এই ব্যাপারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)র কোন আনুষ্ঠানিক বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।

পাঁচ ওয়ানডের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসে দক্ষিণ আফ্রিকা নারী ইমার্জিং দল। এরমধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া চার ম্যাচের সবগুলোতেই সফরকারীদের অনায়াসে হারায় সিনিয়র ক্রিকেটার নিয়ে খেলা বাংলাদেশের মেয়েরা।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago