বরিশালে ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়া

বরিশালে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়া। হাসপাতালের সক্ষমতার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি রোগী আসায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তাররা। চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গরমের সময়ে এমনিতেই ডায়রিয়ার প্রকোপ থাকে। এর সঙ্গে, করোনার অন্যতম উপসর্গ হিসেবে ডায়রিয়া রোগী বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বরিশালে ডাইরিয়া আক্রান্ত এক রোগীকে হাসপাতালে নিচ্ছেন স্বজনরা। ছবি: টিটু দাস

বরিশালে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়া। হাসপাতালের সক্ষমতার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি রোগী আসায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তাররা। চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গরমের সময়ে এমনিতেই ডায়রিয়ার প্রকোপ থাকে। এর সঙ্গে, করোনার অন্যতম উপসর্গ হিসেবে ডায়রিয়া রোগী বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বরিশালে ডায়রিয়া চিকিৎসার প্রধান কেন্দ্র বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে এখন রোগী সংকুলান হচ্ছে না। বাড়তি বেড এনেও রোগীদের জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না। ঝুঁকিমুক্ত হলেই রোগীদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।

বরিশাল জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, মার্চ মাসে হাসপাতালটিতে ৭৫১ জন রোগী ডায়রিয়ার সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছিল। এপ্রিল মাসে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত ভর্তি হয়েছেন ৫৫৪ জন।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মলয় কৃষ্ণ বড়াল দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বছরের অন্যান্য সব মাসের কয়েক গুন বেশি ডায়রিয়া রোগী এই দুই মাসে ভর্তি হয়েছে।

তিনি জানান, গরমের সময়ে এমনিতেই ডায়রিয়ার রোগী বেশি থাকে। এর সঙ্গে করোনার অন্যতম উপসর্গ ডায়রিয়া হওয়ায় এর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

ডায়রিয়া আক্রান্তদের করোনা পরীক্ষা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা পরীক্ষা করছেন না।

ডায়রিয়া ওয়ার্ডের নার্স অর্চনা রানী জানান, আজ ৬১ জন রোগী ছিল। ৪১ জনকে ডিসচার্জ করা হয়েছে। ২০ জন রোগী আছেন।

তিনি জানান, গত দুই মাস ধরে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ জন করে রোগী ভর্তি হচ্ছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ডায়রিয়া ওয়ার্ডের বেড চারটি। পরিবর্তিত অবস্থার কারণে আরও ১০টি বেড আনা হয়েছে। শয্যা না পেয়ে অনেকেই বারান্দায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

হাসপাতাল আরএমও জানান, রোগীদের অধিকাংশই খাবারে বিষক্রিয়া ও দূষিত পানি পান করায় অসুস্থ হচ্ছেন।

যোগাযোগ করা হলে বরিশালের সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, এ বছর মার্চ মাসে ডায়রিয়া রোগী ছিল বরিশাল জেলায় ৯৫৬ জন। গত বছরে মার্চ মাসে এই সংখ্যা ছিল ৮২৭। এ বছর এপ্রিল মাসের দুই সপ্তাহে রোগীর সংখ্যা ৬৪০।

‘ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে,’ বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Is Awami League heading towards a Pyrrhic victory

Column by Mahfuz Anam: Is Awami League heading towards a Pyrrhic victory?

With values destroyed, laws abused, institutions politicised, and corruption having become the norm, will victory by worthwhile for the Awami League?

8h ago