উইকেটের কারণেই নতুন ব্যাটসম্যানদের কাজটা ছিল কঠিন
বল খুব ভালোভাবে ব্যাটে আসলে ব্যাটসম্যানদের চিন্তা থাকে একমুখী- ‘মার আর রান বের করো’। কিন্তু মন্থর উইকেটে যখন দেখা যায় অসমান বাউন্সও, ব্যাটসম্যানদের মনে তৈরি হয় দ্বিধা। ক্রিজে আসা নতুন ব্যাটসম্যানদের সহজ সমীকরণও হয়ে যায় অনেক কঠিন। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে রান তাড়ায় জেতার মতো অবস্থা থেকে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হারার পর এই প্রসঙ্গই টানলেন আন্দ্রে রাসেল। জয়ী দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মাও জানালেন থিতু ব্যাটসম্যানদেরই জন্যই ম্যাচ শেষ করা ছিল সহজ।
চেন্নাইর মন্থর গতির অসমান বাউন্সের উইকেটে আগে ব্যাট করে ১৫২ রানের পুঁজি পেয়েছিল মুম্বাই। রান তাড়ায় কলকাতাকে দারুণ শুরু পাইয়ে দেন তাদের দুই ওপেনার নিতিশ রানা আর শুভমান গিল। উদ্বোধনী জুটিতেই চলে আসে ৭১ রান। কলকাতা অনায়াসেই জিতবে বলে মনে হচ্ছিল।
কিন্তু উইকেট পড়া শুরু হতেই খেলা ঘুরে যায়। দুই ওপেনার ছাড়া আর কেউ দুই অঙ্কে যেতে পারেননি। রাহুল চাহার, ক্রুনাল পান্ডিয়াদের স্পিন হয়ে উঠে বিষাক্ত। শেষ দিকে জাসপ্রিট বুমরাহ, ট্রেন্ট বোল্টদের কাছ থেকে রান বের করা যায়নি।
এক পর্যায়ে কলকাতার জিততে দরকার ছিল ৩১ বলে ৩১ রান, হাতে ছিল ৭ উইকেট। কিন্তু ম্যাচটা তবু ফসকে যায় তাদের কাছ থেকে। রঙ বদলানো ম্যাচে মুম্বাইর বোলারদের চাপ সামলাতে পারেনি কলকাতা।
বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত আন্দ্রে রাসেল ১৫ বলে করেন ৯ রান। উইকেটের কারণেই তার এমন অবস্থা হয়েছে বলে ম্যাচ শেষে জানান, ‘ব্যাট করার জন্য খুব কঠিন উইকেট ছিল। নতুন ব্যাটসম্যানদের জন্য শট খেলা সহজ ছিল না। আমার জন্যও পরিস্থিতিটা ছিল কঠিন। বল উঠা নামা করলে যেকোনো ব্যাটসম্যানেরই মানিয়ে নিতে সময় লাগে।’
মুম্বাইকে জেতাতে দারুণ ভূমিকায় পাওয়া যায় অধিনায়ক রোহিতকে। ৩২ বলে ৪৩ রান করার পর অধিনায়কত্বের মুন্সিয়ানা দেখান তিনি। বোলিং চেঞ্জ থেকে ফিল্ডিং পজিশনে ছিলেন আগ্রাসী। বোলার-ফিল্ডাররা অধিনায়ককে সাড়া দিয়ে হন উদ্দীপিত। রোহিতও রাসেলের সঙ্গে থিতু ব্যাটসম্যানদেরই শেষ করা উচিত ছিল এই ম্যাচ, ‘এসব উইকেটে সেট হওয়া ব্যাটসম্যানদেরই খেলাটা শেষ করতে হয়। চেন্নাইতে এসব উইকেটে শট খেলা যায় না। পরিকল্পনা থাকতে হয়। এই ম্যাচ থেকে পাওয়া আত্মবিশ্বাস আমাদের কাজে লাগবে।’
Comments