৮ বছর নিষিদ্ধ বাংলাদেশের সাবেক বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক

দুর্নীতির দায়ে ৮ বছরের জন্য জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ও বাংলাদেশের দলের সাবেক বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিককে নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। দুর্নীতির দায়ে, মূলত দলের আভ্যন্তরীণ তথ্য জুয়াড়িদের কাছে পাচারের কারণে এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। বুধবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে আইসিসি।
ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির দায়ে ৮ বছরের জন্য জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ও বাংলাদেশের দলের সাবেক বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিককে নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। দুর্নীতির দায়ে, মূলত দলের আভ্যন্তরীণ তথ্য জুয়াড়িদের কাছে পাচারের কারণে এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। বুধবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে আইসিসি।

২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে এবং বিভিন্ন ঘরোয়া দলের কোচ থাকার সময় আইসিসির দুর্নীতি-বিরোধী ধারা ভঙ্গ করেছেন স্ট্রিক। এরমধ্যে ২০১৮ সালে বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজের তথ্য পাচার করেছেন তিনি। এছাড়া জিম্বাবুয়ে-আফগানিস্তান সিরিজ, ২০১৮ সালের আইপিএল, আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগ এবং এমনকি ২০১৭ সালের বিপিএলে সম্পৃক্ত থাকার সময় বিভিন্ন তথ্য পাচার করেছেন এ জিম্বাবুইয়ান।

অভিযোগে বলা হয়েছে, একজন জাতীয় দলের অধিনায়কসহ অন্তত চারজন ক্রিকেটারকে জুয়ার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন স্ট্রিক। আইসিসির দুর্নীতি দমন ট্রাইব্যুনালের সামনে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। তবে শুরুতে অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। ২০২৯ সালের ২৮ মার্চ পুনরায় ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত হতে পারবেন এ জিম্বাবুইয়ান।

খেলোয়াড়ি জীবনে অনেকবারই বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন স্ট্রিক। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটও খেলেছেন। এরপর ২০১৪ সালে বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ হিসেবে তাকে নিয়োগ দিয়েছিল বিসিবি। তার সময়ে বাংলাদেশের পেসারদের সাফল্যও ছিল ভালো। তাই তার সঙ্গে চুক্তির নবায়ন করতে চেয়েছিল দেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। তবে তাতে রাজী হননি জিম্বাবুয়ের ইতিহাসে অন্যতম সেরা এ ক্রিকেটার।

এরপর ২০১৬ সালের অক্টোবরে জিম্বাবুয়ে কোচের দায়িত্ব নেন স্ট্রিক। তবে জিম্বাবুয়েকে বিশ্বকাপে তুলতে ব্যর্থ হওয়ায় ছাঁটাই হন তিনি। পরে ২০১৮ সালে আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলিং কোচের দায়িত্ব পান এ সাবেক ক্রিকেটার।

Comments