নারায়ণগঞ্জ হেফাজতের সাধারণ সম্পাদক বশির উল্লাহ কারাগারে
হেফাজতে ইসলামের হরতাল চলাকালে সহিংসতা ও নাশকতা ঘটনায় পুলিশের মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক বশির উল্লাহকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুনের আদালত এ নির্দেশ দেন।
গত মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার সানারপাড় লন্ডন মার্কেট এলাকায় নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে বশির উল্লাহকে আটক করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। পরে ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের হরতাল চলাকালে সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের দায়ের করা ৫ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ বশির উল্লাহকে আদালতে হাজির করলে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘হেফাজতে ইসলামের সকাল-সন্ধ্যা হরতালে ও সোনারগাঁয়ে মামুমুল হক অবরুদ্ধ হওয়ায় সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় বশির উল্লাহ নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিভিন্ন অডিও এবং ভিডিওতে এর তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। এ কারণে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ৫ মামলায় বশির উল্লাহকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এক-দুই দিন পর বশির উল্লাহর বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।’
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নাশকতা ও সহিংসতার ঘটনায় পুলিশ ও র্যাব সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ৬টি মামলা দায়ের করে। এ ছাড়া, গত ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে রাখেন স্থানীয়রা। পরে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা রয়েল রিসোর্ট, আওয়ামী লীগ কার্যালয়, বাড়ি-ঘর ও গাড়ি ভাঙচুরসহ মহাসড়কে আগুন দেয়। এ ছাড়াও, এক সাংবাদিককে মারধর করে। এসব ঘটনায় সোনারগাঁও থানায় ৬টি মামলা দায়ের করা হয়।
Comments