বাবরের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে দ. আফ্রিকাকে উড়িয়ে দিল পাকিস্তান
মাঠে নামার আগেই সুখবরটা পেয়েছিলেন বাবর আজম। তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে শীর্ষস্থান দখল করে থাকা ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে হটিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাতে যেন আত্মবিশ্বাসটা আরও বেড়ে যায় পাকিস্তান অধিনায়কের। জেরটা ভালোভাবেই টের পেল দ্বিতীয় সারির দক্ষিণ আফ্রিকা। বাবরের সেঞ্চুরিতে তাদের উড়িয়ে দিয়েই সিরিজে এগিয়ে গেল সফরকারী দলটি।
সেঞ্চুরিয়ানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে পাকিস্তান। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৩ রানের বিশাল সংগ্রহই করেছিল প্রোটিয়ারা। বাবর ও রিজওয়ানের ব্যাটে সে লক্ষ্য হয়ে যায় মামুলী। ১২ বল বাকী থাকতে মাত্র ১ উইকেট হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় বাবর আজমের দল। টি-টোয়েন্টিতে এটাই পাকিস্তানের সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। চার ম্যাচের এ সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল তারা।
মূলত দারুণ ছন্দে থাকা দুই ব্যাটসম্যান রিজওয়ান ও বাবরের ব্যাটেই জয় পায় পাকিস্তান। এ দুই ব্যাটসম্যান ওপেনিং জুটিতেই এনে দেন ১৯৭ রান। জয় থেকে মাত্র ৭ রান দূরে থাকতে লিজাদ উইলিয়ামসের বলে ব্যাটের কানায় লাগলে উইকেটরক্ষকের হাতে ধরা পড়েন বাবর। ততোক্ষণে জয় স্বাদ যেন পেয়ে যায় পাকিস্তান। এরপর বাকী কাজ ফখর জামানকে নিয়ে শেষ করেন রিজওয়ান।
মাত্র ৫৯ বলে ১২২ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন বাবর। এ রান করতে ১৫টি চারের পাশাপাশি ৪টি ছক্কা মারেন এ ব্যাটসম্যান। যা পাকিস্তানী কোনো ব্যাটসম্যানের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ইনিংস। এর আগে আহমেদ শেহজাদ অপরাজিত ১১১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। কম যাননি রিজওয়ানও। ৪৭ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে একমাত্র উইকেটটি নিয়েছেন উইলিয়ামস।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকাও উড়ন্ত সূচনা পায়। দুই ওপেনার জানেমান মালান ও এইডেন মার্করাম ওপেনিং জুটিতে করেন ১০৮ রান। তাতেই বড় রানের ভিত পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত ২০৩ রান সংগ্রহ করে দলটি।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৩ রানের ইনিংস খেলেছেন মার্করাম। ৩১ বলে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় এ রান করেন এ ওপেনার। আরেক ওপেনার মালানের ব্যাট থেকে আসে ৫৫ রান। ৪০ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেছেন তিনি। এছাড়া রাসি ভ্যান ডার ডুসেন ২০ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় করেন ৩৪ রান। পাকিস্তানের পক্ষে ৩৮ রানের খরচায় ২টি উইকেট নেন মোহাম্মদ নাওয়াজ।
Comments