অলিম্পিক বাতিলের পথ এখনো খোলা আছে: জাপানি কর্মকর্তা
জাপানের সরকারি দলের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে এ বছরের অলিম্পিক গেমস বাতিল করার কথা ভাবা যেতে পারে।
অলিম্পিক শুরু হতে ১০০ দিনেরও কম সময় বাকি থাকতে আজ বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সংস্থা কিয়োডোর বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক তোশিহিরো নিকাই টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘যদি এটা আয়োজন করা অসম্ভব হয়ে পড়ে, তাহলে আমাদের উচিৎ এটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া।’
দলের গুরুত্বপূর্ণ কর্মী ও প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা’র অন্যতম প্রধান সহযোগী নিকাই তার খোলামেলা মন্তব্যের জন্য বিখ্যাত। সরকারি দলের অন্য অনেক সদস্য অলিম্পিক বাতিলের সম্ভাবনার বিষয়ে কথা বলার ব্যাপারটি এড়িয়ে গেছেন।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ক্রীড়া অনুষ্ঠানটি ইতোমধ্যে এক বছর পিছিয়ে গেছে। স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক দর্শক ছাড়াই এর আয়োজনের প্রস্তুতি চলছিল।
জাপানে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঊর্ধ্বগামী। সরকার ‘জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর থেকে টোকিওতে আগের চেয়ে বেশি হারে সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। ওসাকায় রেকর্ড সংখ্যক নতুন সংক্রমণ হয়েছে।
সরকার সামাজিক দূরত্ব ও দর্শকদের ওপর অন্যান্য বিধিনিষেধ আরোপ করে আগামী ২৩ জুলাই থেকে অলিম্পিক শুরু করার সব প্রস্তুতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। অলিম্পিকের প্রথাগত মশাল বহনের অংশটিও সংক্ষিপ্ত আকারে আয়োজনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
বিভিন্ন জরিপে বৈশ্বিক মহামারির মধ্যে জাপানের অলিম্পিক আয়োজনের বিষয়টির পক্ষে খুব কম জনমত পাওয়া গেছে।
জাপানে ‘অলিম্পিক বাতিল’ করার বিষয়টি টুইটারে ট্রেন্ডিং হয়ে উঠেছে। এই বিষয়ে আজ ৩৫ হাজারের বেশি টুইট হয়েছে।
সম্প্রতি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর বাড়তি চাপ নিয়ে সতর্কতা বাণী দেওয়ার পরই জাপানি সরকার দলীয় নেতার এই মন্তব্য এলো।
জাপানের প্রধান চিকিৎসা উপদেষ্টা শিগেরু অমি ও কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিরোশি নিশিউরা স্বীকার করেছেন যে নতুন স্ট্রেইনের কারণে মহামারির চতুর্থ ঢেউ এসেছে দেশটিতে।
তারা সার্বিক বিবেচনায় অলিম্পিক গেমস পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান।
অলিম্পিকের আয়োজক ও জাপানের জাতীয় অলিম্পিক কমিটি এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি।
Comments