আবারও উইজেডেনের বর্ষসেরা ‘লিডিং ক্রিকেটার’ স্টোকস
গতবছর প্রথমবার ক্রিকেটের বাইবেল খ্যাত উইজেডেনের ‘লিডিং ক্রিকেটার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ হয়েছিলেন বেন স্টোকস। প্রথম ইংলিশ ক্রিকেটার হিসেবে টানা দ্বিতীয়বার তিনি পেয়েছেন এই সম্মান।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমানাকের ১৫৮তম সংস্করণ। এতে ‘লিডিং ক্রিকেটার হয়েছেন স্টোকস। আর ‘লিডিং উইমেন ক্রিকেটার ইন দা ওয়ার্ল্ড’ মনোনীত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার বেথ মুনি।
বর্ষসেরা পাঁচ ক্রিকেটারের তালিকায় ঠাঁই হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেসন হোল্ডার, পাকিস্তানের কিপার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান, ৪৪ বছর বয়েসী ইংলিশ অলরাউন্ডার ড্যারেন স্টিভেন্স, ব্যাটসম্যান ডমিনিক সিবলি ও জ্যাক ক্রলির।
ইংলিশ গ্রীষ্মে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক নৈপুণ্যের জন্যই দেওয়া হয়ে আসছে ঐতিহ্যবাহী এই স্বীকৃতি।
গত বছর গ্রীষ্মে ৭ টেস্টে ৫৮.২৭ গড়ে সর্বোচ্চ ৬৪১ রান করেন স্টোকস, পেস বোলিংয়ে ১৮.৭৩ গড়ে নেন ১৯ উইকেট। এমন অভাবনীয় পারফরম্যান্সের কারণে ফের এই স্বীকৃতির জন্য অনেকখানি এগিয়ে ছিলেন তিনি।
উইজেডেনের ‘লিডিং ক্রিকেটার’ খেতাব এর আগে একাধিকবার জিতেছেন আরও তিন ক্রিকেটার। ভারতের বিরাট কোহলি জেতেন তিনবার, বীরন্দ্রের শেবাগ জেতেন দুবার। দুবার জেতেন শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা।
গত বছর কোহলিকে ছাপিয়ে প্রথমবার সেরা হয়েছিল স্টোকস, আবারও তিনিই পেলেন এই সম্মান।
১৮৮৯ সাল থেকে উইজেড বর্ষসেরা ক্রিকেটারের স্বীকৃতি দিয়ে আসছে। ২০০৪ সাল থেকে খেতাবটির কেতাবি নাম হয় ‘লিডিং ক্রিকেটার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’। এই নামে প্রথম জেতেন অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং।
স্টোকসের মতই ইংলিশ গ্রীষ্মে পারফর্ম করার স্বীকৃতিতে সেরা পাঁচে জায়গা পেয়েছেন বাকিরা। ইংল্যান্ডে ঘরোয়া আসর বব উইলিস ট্রফিতে ৫ ম্যাচে ২৯ উইকেট নিয়ে জায়গা পেয়েছেন ৪৪ পেরুনো ড্যারেন স্টিভেন্স।
গেল মৌসুমে ঘরের মাঠে দারুণ ছন্দে ছিলেন জ্যাক ক্রলি ও ডমিনিক সিবলি। সিবলি ৯ টেস্ট খেলে ৪৭.৩০ গড়ে করেন ৬১৫। ৭ টেস্ট খেলে ক্রলি ৫২.৭২ গড়ে করেন ৫৮০ রান। তিনি ভাল খেলেছেন বল উইলিস ট্রফি আর টি-২০ ব্লাস্টেও।
ইংল্যান্ড সফরে পাকিস্তানের হয়ে দারুণ পারফর্ম করেন কিপার ব্যাটসম্যান রিজওয়ান। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি কিপিংয়েও সেরা ছিলেন তিনি। করোনা মহামারির স্থবিরতার পর প্রথম টেস্টেই সাউদাম্পটনে ইংল্যান্ডকে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই টেস্টে ৬ উইকেট নেন জেসন হোল্ডার। তাতে তিনিও ঢুকেছেন সেরা পাঁচে।
Comments