বরিশালে রাস্তায় রিকশা বেশি, বাজারে মানুষের ভিড়

স্টার ফাইল ছবি

বরিশালের রাস্তায় লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে আগের দিনের চেয়ে বেশি রিকশা দেখা গেছে। অধিকাংশ দোকানপাট, বিপণীবিতান বন্ধ থাকলেও, প্রধান বাজারগুলোতে কিছুটা ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। নগরীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশকে আগের চেয়ে বেশি তৎপর দেখা গেছে।

তবে, রিকশা চলাচল বন্ধ না করলেও, নগরীর প্রবেশদ্বারগুলো যেমন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় জিরো পয়েন্ট, চৌমাথা, গড়িয়ার পার ও কালিজিরা এলাকায় ব্যক্তিগত-অফিসিয়াল ও জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি চেক করতে দেখা গেছে পুলিশকে।

আজ বৃহস্পতিবার বরিশাল নগরীর প্রধান বাজার, ফলের দোকান, নিত্য প্রয়োজনীয় ও মাছের আড়তগুলোতে সরেজমিনে গিয়ে বেচাকেনা চলতে দেখা যায়। ফুটপাতে আগের চেয়ে বেশি হকারদের উপস্থিতি দেখতে পাওয়া গেছে। অনেকেই রমজানের কথা বলে ফুটপাতে খাবার বিক্রি করছে। নগরজুড়ে অ্যাম্বুলেন্সের চলাচল আগের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি বেড়েছে। রাস্তায় পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করতেও দেখা গেছে।

নগরীর ফলপট্টি এলাকার বিক্রেতা মনির বলেন, 'বেচাকেনা না করলে কি খামু?' ইফতারের সময় পর্যন্ত তিনি বেচাকেনা করবেন বলে জানান।

নগরীর বাজার রোড, ফলপট্টি, পোর্ট রোড, গির্জা মহল্লা এলাকায় ছিল সবচেয়ে ভিড়। তরমুজ ব্যবসায়ী গণেশ দত্ত জানান, এখন তরমুজের সিজন। বিক্রি করতে না পারলে তরমুজ পচে যাবে, অথচ ক্রেতাও আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে।

সড়কপথে কড়াকড়ি থাকায় অনেকে ট্রলার নিয়ে নৌপথে দূর গন্তব্যে যাচ্ছেন বলে লঞ্চ পরিহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

বরিশালের পদ্মবতি এলাকার দর্জি মনসুর জানান, আগে ঈদকে সামনে রেখে তাদের প্রচুর কাজ থাকতো, যা দিয়ে তারা কয়েক মাস চলতেন। এবার লকডাউনে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন সবচেয়ে বেশি।

এ দিকে, লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি ও নিষেধাজ্ঞা না মানায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুমানা আফরোজ ও অংমাচিং মারমার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ১০ জনকে জরিমানা করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago