কেন পারিশ্রমিক পাচ্ছেন জানেন ১৬ কোটি ২৫ লাখ রুপির মরিস
শেষ ২ ওভারে জয়ের জন্য চাই ২৭ রান। পড়ে গেছে ৭ উইকেট। তিনি ছাড়া স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের সবাই ফিরেছেন সাজঘরে। তার দিকেই তখন তাকিয়ে রাজস্থান রয়্যালস। আর তা থাকবে না-ই বা কেন? সবশেষ নিলামে তাকে ১৬ কোটি ২৫ লাখ রুপি দিয়ে কিনেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। যা আইপিএলের ইতিহাসে কোনো বিদেশি ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হওয়ার রেকর্ড।
দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার মরিস আশার বেলুন ফুটো হতে দেননি। তিনি রাখেন আগ্রাসী ইনিংস খেলার সামর্থ্যের ছাপ। শেষ দুই ওভারে সজোরে ব্যাট ঘুরিয়ে হাঁকান ৪ ছক্কা। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে রাজস্থানকে পাইয়ে দেন ৩ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয়।
বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আগে নেমে ৮ উইকেটে ১৪৭ রান করে দিল্লি। মরিসের তাণ্ডবে ২ বল হাতে রেখে সেই রান পেরিয়ে যায় রাজস্থান।
এক পর্যায়ে ৪২ রানে ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছিল রাজস্থানের। বিপর্যয় থেকে তারা ঘুরে দাঁড়ায় ডেভিড মিলারের ৪৩ বলে ৬২ রানের ইনিংসে। শেষে ঝাঁজ দেখান মরিস। ১৯তম ওভারে কাগিসো রাবাদাকে ও শেষ ওভারে টম কারানকে দুবার করে সীমানাছাড়া করেন তিনি। তার মাত্র ১৮ বলে অপরাজিত ৩৬ রানের কল্যাণে জয়ের বন্দরে নোঙর করে রাজস্থান।
ম্যাচের পর মরিস বলেন, জোরে মারার এমন ক্ষমতার কারণে তাকে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়, ‘অনেককে পারিশ্রমিক দেওয়া হয় ব্যাট করার জন্য। আবার অনেককে পারিশ্রমিক দেওয়া হয় স্লগের (জোরে মারা) জন্য।’
রসিকতা করে ৩৩ বছর বয়সী এই তারকা জানান, গলফ খেলার কৌশল তিনি কাজে লাগাচ্ছেন ব্যাটিংয়ে, ‘আমার জানা আছে আমার দায়িত্ব কোনটা। সেকারণে আমি গলফ খেলতে এত ভালোবাসি!’
আগের ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে নাটকীয় লড়াইয়ে ৪ রানে হেরেছিল রাজস্থান। ওই ম্যাচ থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথাও জানান মরিস, ‘আমি মনে করি, গত ম্যাচটা, যেটায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল, সেখান থেকে আমরা অনেক কিছু নিয়েছি। এটা জেনে ভালো লাগছে যে, আমরা যেকোনো বিপর্যস্ত অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে জিততে পারি।’
পাঞ্জাবের বিপক্ষে সেদিন ব্যাটে-বলে বিবর্ণ ছিলেন মরিস। ২ উইকেট নিলেও দিয়েছিলেন ৪১ রান। পরে অপরাজিত থাকেন ৪ বলে ২ রানে। দিল্লির সঙ্গেও সাদামাটা বোলিং করেন তিনি। ৩ ওভারে ১ উইকেট নিতে তার খরচা ২৭ রান। তবে ব্যাটিংয়ে ঠিকই মেলে ধরেন নিজেকে।
Comments