করোনাকালেও প্রথম প্রান্তিকে চীনের অর্থনীতি বেড়েছে ১৮.৩ শতাংশ
কোভিড-১৯ মহামারির ধকল কাটিয়ে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে চীনের অর্থনীতি গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় রেকর্ড ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ হারে বেড়েছে।
আজ শুক্রবার বিবিসি’র এক প্রতিবেদনের এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯২ সাল থেকে অর্থবছরের প্রান্তিক হিসাব রাখতে শুরু করে চীন। এর পর মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ক্ষেত্রে এটাই সবচেয়ে বড় উল্লম্ফন।
এই প্রবৃদ্ধিকে প্রত্যাশার তুলনায় কম উল্লেখ করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘অর্থনীতিবিদেরা ১৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আশা করেছিলেন।’
করোনা মহামারি শুরুর পরিপ্রেক্ষিতে দেশজুড়ে লকডাউন আরোপের পর গত বছরের প্রথম তিন মাসে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে গিয়েছিল। এটাকে ভিত্তি ধরেই চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এই হিসাব করেছেন অর্থনীতিবিদেরা।
চীনের পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্য অনুসারে, চলতি বছর অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচকগুলো দারুণ অবস্থানে আছে। যা তুলনীয় হয়েছে গত বছরের একই সময়ের দুর্বল সূচকগুলোর সঙ্গে।
চলতি বছরের মার্চে চীনের শিল্প উৎপাদন পৌঁছেছে ১৪ দশমিক ১ শতাংশে। আর খুচরা বিক্রি বেড়েছে ৩৪ দশমিক ২ শতাংশ।
গবেষণা ও পরামর্শক সংস্থা অক্সফোর্ড ইকোনোমিকস’র এশিয়া ইকোনোমিকস বিভাগের প্রধান লুই কুইজ বলছেন, ‘মার্চে গত দুই মাসের তুলনায় শিল্প উৎপাদন, ব্যয় ও বিনিয়োগের মতো সূচকগুলো গতি পেয়েছে।’
এত সব ভালো সংবাদের পরও বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, সরকারি প্রণোদনা ও আর্থিক সহযোগিতা কমে আসায় অর্থনীতির কোনো কোনো খাতের গতি কমেও যেতে পারে।
এ বিষয়ে ইকোনোমিস্ট ইনটেলিজেন্ট ইউনিট’র চীনের অর্থনীতি বিষয়ে শীর্ষ বিশেষজ্ঞ ইউই সু মনে করেন, ‘অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে প্রণোদনার অভাবের কারণে বাণিজ্য ও শিল্পখাতে প্রবৃদ্ধির এই ধারা বছরের বাকি দিনগুলোতে ধরে রাখা সম্ভব নাও হতে পারে।’
২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকের সঙ্গে তুলনা করলে এ কথা জোর দিয়ে বলা যায় যে, দৃশ্যত চীনের অর্থনীতি আবার গতি পাচ্ছে।
চলতি বছরে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৬ শতাংশ।
Comments