করোনাভাইরাস

ফেনীতে সংক্রমণ বাড়ছে, স্বাস্থ্যবিধি মানছে না মানুষ

৩ মাসে আক্রান্ত ৩৭৪, এপ্রিলের ২০ দিনে আক্রান্ত ৫৭৪
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

ফেনীতে এপ্রিলের ২০ দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭৪ জন। অথচ, চলতি বছরের প্রথম তিন মাস জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি-মার্চে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩৭৪ জন। ফলে, গত তিন মাসের তুলনায় চলতি মাসে সংক্রমণ বেড়েছে দেড়গুণের বেশি। তবুও, সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা কম।

করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ফেনীকে মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ জেলা ঘোষণা করা হলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে নেই সচেতনতা। লকডাউনেও নানা অজুহাতে মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছে, যাত্রীবাহী বাস না চললেও অন্য যানবাহন কিছু কিছু চলাচল করছে।

প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে পাড়া-মহল্লার দোকানপাট বেশির ভাগ খোলা থাকে। ফলে, এখানে সংক্রমণ আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ১৬ এপ্রিল ফেনী জেলায় প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাড়ে ৮ মাসে করোনা শনাক্ত হয় দুই হাজার দুইশ ২৭ জনের। ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রথম তিন মাসে শনাক্ত হয় ৩৭৪ জন। ১ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ২৮৩১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫৭৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এপ্রিলে শনাক্তের হার ২০.২৫ শতাংশ। জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ১৭৫ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৪১০ জন। বর্তমানে ৭২৬ জন স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

জেলায় আক্রান্তদের মধ্যে- সদর উপজেলায় আছে এক হাজার ৪১৮ জন, দাগনভূঞায় ৫৩৮, ফুলগাজীতে ১৭৯, ছাগলনাইয়ায় ৪৩২, সোনাগাজীতে ৩৬৪, পরশুরামে ২০৮ জন। অন্য জেলা থেকে ফেনী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে নমুনা দিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ জন।

সূত্র আরও জানায়, গত জানুয়ারি-মার্চ তিন মাসে জেলায় ৩ জন মারা গেছেন। আর চলতি এপ্রিল মাসের ২০ দিনে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

জেলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন এস এস আর মাসুদ রানা বলেন, ‘মানুষের সচেতনতার বিকল্প নেই। স্বাস্থ্য বিধি মেনেই কেবল সংক্রমণ রোধ সম্ভব।’

পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবী বলেন, ‘কোভিড পরিস্থিতি পুলিশের একার পক্ষে সামাল দেওয়া খুবই কঠিন কাজ। প্রশাসন, ডাক্তার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবাই সম্মিলিতভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে। গত এক বছর ধরে মানুষ কোভিড পরিস্থিতি দেখে-শুনে অভ্যস্ত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মানুষকে বোঝাতে চেষ্টা করছে।’

জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান বলেন, ‘জরুরি প্রয়োজনে মাস্ক পরে বাসার বাইরে যাওয়া, বাসায় ফিরে হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে পারলে সবাই ভালো থাকব। দেশে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। সরকারের নির্দেশনা, স্বাস্থ্যবিধি মানুষ মেনে চললে সংক্রমণের হার কমবে।’

Comments

The Daily Star  | English

Sheikh clan’s lust for duty-free cars

With an almost decimated opposition and farcical elections, a party nomination from the ruling Awami League was as good as a seat in the parliament.

7h ago