ঈদের পোশাক নিয়ে ডিজিটাল প্লাটফর্মে এমদাদ হক

ছবি: সংগৃহীত

ঈদ মানেই সাধ্যমতো নতুন পোশাক কেনা। দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের দেশে এই রীতি চলে আসছে। তবে, করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছর সেই চেনা দৃশ্য অনেকটাই দেখা যায়নি। গত বছরের মতো চলতি বছরের ঈদেও হয়তো একই দৃশ্য দেখা যাবে। কিন্তু, তাই বলে তো ঈদের কেনাকাটা বন্ধ থাকতে পারে না। মানুষ নিউ নরমালের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করছেন। নিউ নরমালে এসে আমরা এখন অনেক সচেতন।

তাই করোনা পরিস্থিতিতে বিপণিবিতানগুলো বন্ধ থাকায় মানুষ ঝুঁকছে অনলাইন কেনাকাটায়। বিভিন্ন ডিজিটাল প্লাটফর্ম থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস থেকে শুরু করে নিজের পছন্দের অনুষঙ্গ কিনছেন।

ক্রেতাদের সুবিধার্থে ঈদের আগে ডিজিটাল প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছেন ফ্যাশন ডিজাইনার এমদাদ হক। এখন থেকে ক্রেতারা তার ডিজাইনের ঈদের পোশাক ফেসবুক পেজ ‘এমদাদ’ থেকেই সংগ্রহ করতে পারবেন।

ফ্যাশন ডিজাইনার এমদাদ হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘অনেক দিন পর আবার ডিজিটাল প্লাটফর্মে ফিরেছি। করোনার সময়ে ভালো সাড়া পাচ্ছি।’

এমদাদ হকের ঈদ কালেকশনে ক্রেতারা পাবেন কিছু ভিন্ন মিশ্রণ! এখানে ভিন্ন ডিজাইনের কনট্রাস্ট কম্বিনেশনে পাওয়া যাবে টাই-ডাই শাড়ি। নকশার ব্যবহারে আছে ব্লক গাঁথা আবার কখনো হাজার বুটি। সুতি কাপড়ের এসব পোশাকে সবসময় ব্যবহারের উপযোগী রং ব্যবহার করা হয়েছে। এগুলোর দাম পড়বে ৩,৫০০ থেকে ৪,০০০ টাকার মধ্যে। এছাড়াও আছে ম্যাচিং পাঞ্জাবি (টাই-ডাই)। পাঞ্জাবির দাম পড়বে- ১,২০০ টাকা থেকে ২,০০০ টাকা। এন্ডি শাড়ি ম্যাজেন্টা ও মেরুন রঙের (ব্লক বা এমব্রয়ডারি) দাম রাখা হয়েছে ৬,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা। গুজরাটি সুতি শাড়ির পাওয়া যাবে ৪০০০ টাকায়। সালোয়ার কামিজে ব্যবহার করা হয়েছে প্যাঁচওয়ার্ক, আনারকলি এমব্রয়ডারি টিস্যুসহ ভেলভেট পাড়। এগুলোর দাম পড়বে ৩,৫০০ থেকে ৫,০০০ টাকা।

এমদাদের হকের ঈদের বিশেষ আয়োজনে আছে কুর্তি বা সিঙ্গেল পিস। টাই-ডাই পাড় সংযুক্ত এগুলোতে আছে এমব্রয়ডারির কাজ। দাম রাখা হয়েছে ২০০০ টাকার মধ্যে। এছাড়াও ক্রেতারা পাবেন টাই-ডাই দোপাট্টা, গামছা, উত্তরীয়। যা কেনা যাবে ৬০০ টাকার মধ্যে। পাঞ্জাবির নকশায় থাকছে টাই-ডাই, স্ক্রিন প্রিন্ট, কারচুপি। আর এসব পাঞ্জাবির দাম রাখা হয়েছে ১,২০০ থেকে ২,০০০ টাকার মধ্যে।

এমদাদ হকের ডিজাইনের এসব পোশাক ক্রেতারা ডিজিটাল মাধ্যম থেকে ঘরে বসেই কিনতে পারবেন।

এমদাদ হক বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি চলছে। তবুও ঈদ বলে কথা! সবাই নিজেদের সাধ্যমতো ঈদ পালন করবে। করেনায় অনেকেই আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন, সেই শোক ভোলার নয়। প্রিয়জনের বিদায় সত্যিই হৃদয়বিদারক এক স্মৃতি। তবুও ঈদ। বেঁচে থাকাটা এখন আশীর্বাদ।’

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago