অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে দেশের বাইরে মুমিনুলের প্রথম সেঞ্চুরি
অফ স্পিনার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার অফ স্টাম্পের একটু বাইরের ডেলিভারি। তুলনামূলক দ্রুতগতির বলটি জায়গা করে নিয়ে খেললেন মুমিনুল হক। কাট করে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে পাঠালেন সীমানার বাইরে। তাতে অবসান ঘটল দীর্ঘ অপেক্ষার। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের অষ্টম বছরে এসে বিদেশের মাটিতে সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক।
বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ক্যান্ডি টেস্টের দ্বিতীয় দিনে সাদা পোশাকে ১১তম সেঞ্চুরি করলেন মুমিনুল। এই বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের আগের সবগুলো সেঞ্চুরি ছিল বাংলাদেশের মাঠে। বিদেশে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা তিনি পেলেন ৪৩ নম্বর টেস্টে। তাকে খেলতে হলো ৭৯টি ইনিংস।
৬৪ রান নিয়ে এদিন খেলতে নেমেছেন মুমিনুল। প্রথম দিন হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে তার লেগেছিল ১১৭ বল। আর কাঙ্ক্ষিত তিন অঙ্ক তিনি স্পর্শ করলেন ২২৪ বলে। তার ইনিংসে বাউন্ডারি মাত্র ৯টি। অর্থাৎ দৌড়ে রান নিয়ে এবং স্ট্রাইক বদলে রানের চাকা সচল রাখছেন তিনি। সেঞ্চুরি করতে এই প্রথম ২০০ বা তার চেয়ে বেশি বল ব্যবহার করলেন তিনি।
দেশের মাটিতে ৪৫ ইনিংসে মুমিনুলের রান ২৩১২। গড় চোখ ধাঁধানো, ৫৬.৩৯। দশটি সেঞ্চুরির সঙ্গে হাফসেঞ্চুরি সাতটি। তবে বিদেশের মাটিতে ভীষণ অনুজ্জ্বল তিনি। আগের ৩৩ ইনিংসে মাত্র ২২.৩০ গড়ে তার সংগ্রহ ছিল ৭৩৬ রান। ছয়টি ফিফটি থাকলেও ছিল না কোনো সেঞ্চুরি। সেই অতৃপ্তি ঘুচল পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে।
সবশেষ ৬ ইনিংসে মুমিনুলের এটি তৃতীয় সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের সবশেষ সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে ১১৫ রান করেছিলেন তিনি। তার আগে গত বছর ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ১৩২ রান।
এই প্রতিবেদন লেখার সময়, দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনের খেলা চলছে। ১১৪ ওভার শেষে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৩৭৫। উইকেটে মুমিনুল আছেন ১০৪ রানে। তার সঙ্গী নাজমুল হোসেন শান্ত ইতোমধ্যে নিজের অভিষেক টেস্ট সেঞ্চুরিকে রূপ দিয়েছেন দেড়শতে। তিনি খেলছেন ১৫৪ রানে।
Comments