শান্ত-মুমিনুলের বিদায়ের সেশনে রানের গতি মন্থর
আগের দিন রান এসেছিল দ্রুত গতিতে। এদিন সতর্ক শুরুর পর রানের গতি ঠিক রেখেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুমিনুল হক। তবে এই দুজনের বিদায়ের পর কিছুটা মন্তর গতিতে এগুচ্ছে বাংলাদেশ।
পাল্লেকেলেতে দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে ২৭ ওভার খেলে ২ উইকেটে ৬২ রান তুলেছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে চা-বিরতি পর্যন্ত দলের স্কোর ৪ উইকেটে ৪৪০ রান । ২২ রানে ব্যাট করছেন মুশফিকুর রহিম। ১২ রান নিয়ে তার সঙ্গী কিপার ব্যাটসম্যান লিটন দাস। দলের রান পাঁচশো ছাড়ানোর ভার এই দুজনের হাতে।
লাঞ্চের পর ফিরে শান্ত এগুচ্ছিলেন ডাবল সেঞ্চুরির দিকেই। একাধিক রেকর্ডও হাতছানি দিচ্ছিল তাকে। বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে প্রথম সেঞ্চুরিকে ডাবল নিতে পারেননি কেউ, টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি বল খেলারও সম্ভাবনা ছিল তার। কিন্তু দুটোই হাতছাড়া হয়েছে। দারুণ এক ওভারে গতি বৈচিত্র্যে তাকে কাবু করেন লাহিরু কুমারা। তার আচমকা স্লোয়ারে ১৬৩ রানে থামে শান্তর দুর্দান্ত ইনিংস।
এরপর খানিকটা সময় বাংলাদেশের উপর চেপে বসে শ্রীলঙ্কা। ক্রিজে আসা মুশফিকুর রহিম বেশ ধুঁকছিলেন। লেগ স্পিনার ওয়েইন্দু হাসারাঙ্গার বলে দুবার আউট হতে হতে রক্ষা পান। হাসারাঙ্গার গুগলিতে বারবার পরাস্ত হতে দেখা যায় মুশফিককে। থিতু হতে তাই সময় নেওয়া শুরু করেন তিনি। ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বেশি বল খেলা ইনিংসে কিছুটা মন্থর হয়ে পড়েছিলেন মুমিনুল হকও।
চতুর্থ উইকেটে ৩০ রানের জুটির পর মুমিনুলকে ফেরান ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। তার বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন ৩০৪ বলে ১২৭ করা মুমিনুল।
এরপর ছয় নম্বরে নেমে ১৫ বল দ্রুত ১২ রান করে রানের গতি কিছুটা বাড়ান লিটন। শুরুতে ধুঁকতে থাকা মুশফিক কিছুটা থিতু হয়ে অপরাজিত আছেন ৭২ বলে ২২ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
(দ্বিতীয় দিনের চা- বিরতি পর্যন্ত)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস : ১৪৫ ওভারে ৪৪০/৪ (তামিম ৯০, সাইফ ০, শান্ত ১৬৩ , মুমিনুল ১২৭, মুশফিক ব্যাটিং ২২*, লিটন ব্যাটিং ১২* ; লাকমাল ০/৭৩, বিশ্ব ২/৭৫, লাহিরু ১/৮৫, ম্যাথিউস ০/১৪, ধনঞ্জয়া ১/১০৩, হাসারাঙ্গা ০/৭৯ )
Comments