২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ অর্ধেক কমানোর ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ অর্ধেক কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
রয়টার্স জানায়, আজ বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের আয়োজিত জলবায়ু সম্মেলনে ভার্চুয়াল লিডার্স সামিটে এ ঘোষণা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
বাইডেন প্রশাসন আশা করছে, নতুন এই লক্ষ্য নির্ধারণের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কার্বন নিঃসরণকারী অন্যান্য বড় দেশগুলোও তাদের লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে নেবে।
চীনের পর যুক্তরাষ্ট্রই বিশ্বে সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণ করে থাকে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন কার্বন নিঃসরণ কমানোর বৈশ্বিক উদ্যোগ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়েছিলেন। ক্ষমতায় এলে আবারও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্ব নেতৃত্বে ফেরার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাইডেন। এই লক্ষ্যে জলবায়ু বিষয়ক দুই দিনের ভার্চুয়াল সম্মেলনে ২০০৫ সালে যে পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ হতো ২০৩০ সালের মধ্যে তার ৫০ থেকে ৫২ শতাংশ কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ, চীন, রাশিয়া ও ভারতসহ ৪০ দেশের নেতারা এতে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ পরিণতি এড়াতে এই দশকেই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
বাইডেনের এই সিদ্ধান্তকে ‘গেম চেঞ্জিং’ বলে উল্লেখ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
এদিকে, ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা ৪৬ শতাংশ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদো সুগা। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও কার্বন নিঃসরণ ৪০-৪৫ শতাংশ কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছেন।
২০৫০ সালের মধ্যে মার্কিন অর্থনীতিকে পুরোপুরি কার্বন মুক্ত করতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এই ডেমোক্রেট নেতার দাবি, কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক লাখ কাজের সুযোগ তৈরি হবে।
তবে রিপাবলিকানরা বলছেন, এই পরিকল্পনায় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
কোন কোন খাত থেকে কার্বন নিঃসরনের পরিমাণ কমানো হবে তা এখনো ঘোষণা করা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন, গাড়ি নির্মাণ খাত এক্ষেত্রে প্রথমে থাকবে।
চলতি বছরের শেষ নাগাদ বাইডেন প্রশাসন বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Comments