কুতুপালং শিবিরে ৩ রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে স্বামী-স্ত্রীসহ তিন রোহিঙ্গার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
১৪ এপিবিএন’র অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) মো. নাঈমুল হক বলেন, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালংস্থ রোহিঙ্গা শিবিরের ২-পূর্ব নম্বর ব্লকে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন- শিবিরের আলী হোসেনের ছেলে নুরুল ইসলাম (৩৩), তার স্ত্রী মরিয়ম খাতুন (২৬) ও নুরুল ইসলামের শ্যালিকা হালিমা খাতুন (২০)।
স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে নাঈমুল ইসলাম বলেন, ‘কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মরিয়ম খাতুনের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। এ নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায়ও তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়। এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্র নিয়ে স্বামী-স্ত্রী একজন আরেক জনের ওপর হামলা চালায়। ঘটনা শুনে নুরুল ইসলামের পাশের ঘরে অবস্থানরত তার শ্যালিকা হালিমা খাতুন ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তার ওপরও হামলা চালানো হয়। এতে তারা তিন জনই নিহত হন।’
এপিবিএন অধিনায়ক আরও বলেন, ‘সন্ধ্যায় স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে এপিবিএন সদস্যরা নুরুল ইসলামের ঘর থেকে তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করে। তাদের মধ্যে মরিয়ম খাতুনকে গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। অপর দুজনের গলাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তবে কী নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ চলছিল তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’
তিনি জানান, নিহত তিন জনের মরদেহ উখিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উখিয়া থানার ওসি মো. সঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, ‘নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
Comments