টটেনহ্যামকে হারিয়ে শিরোপার দুই রেকর্ড গড়ল ম্যান সিটি
গোটা ম্যাচে টটেনহ্যাম হটস্পারের রক্ষণভাগকে ব্যতিব্যস্ত রাখল ম্যানচেস্টার সিটি। একের পর এক সুযোগ তৈরি করেও তারা পাচ্ছিল না কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা। তারা পারছিল না প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক হুগো লরিসকে ফাঁকি দিতে। আক্ষেপের অবসান ঘটল শেষ দিকে গিয়ে। দর্শনীয় হেডে ব্যবধান গড়ে দিলেন আইমেরিক লাপোর্ত। তার কল্যাণে ফের কারাবাও কাপের শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতল পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।
রবিবার রাতে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে টটেনহ্যামকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ম্যান সিটি।
কারাবাও কাপে এটি সিটিজেনদের টানা চতুর্থ শিরোপা। তারা ছুঁয়ে ফেলল লিভারপুলকে। অলরেডসরা ১৯৮১ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত টানা চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল এই প্রতিযোগিতায়। তাদের আরেকটি রেকর্ডেও ভাগ বসিয়েছে সিটি। কারাবাও কাপে সবচেয়ে বেশি আটটি করে শিরোপা জেতার কীর্তি এখন যৌথভাবে দুদলের। সবশেষ আট বছরে সিটি ষষ্ঠবারের মতো এই আসরে চ্যাম্পিয়ন হলো।
পুরো ম্যাচে ২১টি শট নেয় গার্দিওলার দল। এর মধ্যে লক্ষ্যে ছিল চারটি। বিপরীতে, স্পার্সের নেওয়া মাত্র দুটি শটের একটি ছিল লক্ষ্যে। অবধারিতভাবে বল দখলেও প্রাধান্য ছিল সিটির।
সপ্তম মিনিটে ম্যাচের প্রথম ভালো সুযোগটি তৈরি করে সিটিই। ফিল ফোডেনের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরের মিনিটে রহিম স্টার্লিংয়ের হেড চলে যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে। ২০তম মিনিটে প্রথমবারের মতো সিটির রক্ষণভাগের পরীক্ষা নেয় টটেনহ্যাম। টবি অ্যাল্ডারভেইরেল্ডের শট যায় পোস্ট ঘেঁষে। অবশ্য গোলরক্ষক জ্যাক স্টেফেন দেখেশুনেই বল ছেড়ে দেন। প্রথমার্ধের বাকি অংশ দাপট ছিল সিটির। কিন্তু ফোডেন, স্টার্লিংয়ের মতো রিয়াদ মাহরেজও জালের ঠিকানা খুঁজে নিতে ব্যর্থ হন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই টটেনহ্যাম আক্রমণে ওঠে। স্টেফেন ঝাঁপিয়ে রুখে দেন জিওভান্নি লো সেলসোর শট। এরপর ফের ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নেয় সিটি। প্রথমার্ধের মতো একই ছন্দে খেলতে থাকে ম্যানচেস্টারের দলটি। ৫৫তম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন স্টার্লিং। ৭২তম মিনিটে ইলকাই গুন্দোয়ানকে হতাশ করেন লরিস। দুই মিনিট পর মাহরেজও পারেননি তাকে ফাঁকি দিতে। অবশেষে ৮২তম মিনিটে ভাঙে অচলাবস্থা।
দারুণ ফ্রি-কিকে স্পার্সের ডি-বক্সের মধ্যে বল হাওয়ায় ভাসান বেলজিয়ান তারকা মিডফিল্ডার ডি ব্রুইন। সঙ্গে লেগে থাকা প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারকে ছাপিয়ে উঁচুতে লাফিয়ে ওঠেন লাপোর্ত। বলে মাথা ছুঁইয়ে জালে পাঠিয়ে দেন এই ফরাসি সেন্টার-ব্যাক। তার স্বদেশি লরিসের ঠায় দাঁড়িয়ে চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না। এই গোলেই নিশ্চিত হয় চলতি মৌসুমে সিটির প্রথম শিরোপা জয়।
Comments