রাজধানীর শপিংমল-দোকানে ভিড়

রাজধানীর শপিংমল-দোকানগুলোকে আজ ভিড় দেখা গেছে। ২৬ এপ্রিল ২০২১। ছবি: মুনতাকিম সাদ

রাজধানীর শপিংমল-দোকানগুলোকে আজ সোমবার বেশ ভিড় দেখা গেছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় দেশব্যাপী চলমান লকডাউনের মধ্যেই শপিংমল-দোকান খুলে দেওয়ার দ্বিতীয় দিন আজ।

সরেজমিনে রাজধানীর নিউমার্কেট, চাঁদনী চক, গাউছিয়া, নূর ম্যানশন, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট ও বসুন্ধরা সিটি শপিংমল পরিদর্শন করে দ্য ডেইলি স্টারের সংবাদদাতা এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, আজ সকাল ১০টার দিকে শপিংমল ও দোকানগুলো খোলার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। মূলত ঈদকে সামনে রেখেই সেখানে ক্রেতাদের সমাগম বেশি হচ্ছে। এত লোক সমাগমের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করাই সবচেয়ে সব চ্যালেঞ্জ। শপিংমলগুলোর কিছু দোকানে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছিল। ক্রেতা-বিক্রেতাদের অনেককেই মাস্ক না পরতে কিংবা থুতনিতে ঝুলিয়ে রাখতে দেখা গেছে।

‘কেবল কিছু মার্কেটের প্রবেশপথে হাত স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ভিড়ের মধ্যে দোকানগুলোতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো যথেষ্ট জায়গাও নেই’, বলেন তিনি।

রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার ভিড়। ২৬ এপ্রিল ২০২১। ছবি: মুনতাকিম সাদ

ডেইলি স্টারের সংবাদদাতা আরও জানান, রাজধানীর সড়কগুলোতেও আজ বেশ ভিড় দেখা গেছে। বিশেষ করে নিউমার্কেট ও বসুন্ধরা শপিংমল এলাকায়।

দোকান মালিকরা বলছেন, গতকালের তুলনায় আজ ভিড় অনেকটাই বেড়েছে। সামনে গণপরিবহন খুলে দেওয়া হলে এই ভিড় আরও বাড়বে। কারণ, এখন শুধু ব্যক্তিগত গাড়ি কিংবা রিকশা বা অটোরিকশায় করে ক্রেতারা শপিংমল ও দোকানে আসছেন।

গত শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখা থেকে দেওয়া এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ৫ এপ্রিল থেকে দোকানপাট ও শপিংমল সকাল ১০টা-বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। সর্বশেষ গতকালের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই সময় আরও বাড়িয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত করা হয়।

নিউমার্কেট এলাকায় ফুটওভার ব্রিজে ভিড়। ২৬ এপ্রিল ২০২১। ছবি: মুনতাকিম সাদ

গত ২৪ এপ্রিল সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, চলমান লকডাউনের পরে জনস্বার্থ বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শর্তসাপেক্ষে গণপরিবহন চালুর বিষয়ে সরকার সক্রিয় চিন্তা-ভাবনা করছে।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পুনরায় বাড়তে থাকায় গত ৫ এপ্রিল থেকে সারাদেশে এক সপ্তাহের জন্যে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। পরের দিন ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের ১১টি সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলাচলের অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর ৯-১৩ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়।

এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্যে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দেয় সরকার। সেই লকডাউনের মেয়াদ ২১ এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পরে তা আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়।

আরও পড়ুন:

ঢাকায় রাত ৯টা পর্যন্ত দোকান-শপিং মল খোলা থাকবে

ব্যবসা চালু রাখতে মরিয়া দোকান মালিকরা

উল্টো পথে ‘লকডাউন’

ঈদের আগে লকডাউন শিথিলের চিন্তা করছে সরকার: সেতুমন্ত্রী

লকডাউন বাড়নোর প্রস্তাব, বাস্তবায়নে কঠোরতার ইঙ্গিত

লকডাউনের পরে গণপরিবহন চালুর চিন্তা করছে সরকার: সেতুমন্ত্রী

২২-২৮ এপ্রিল ‘কঠোর’ লকডাউন

দোকান-শপিংমল খুলবে ২৫ এপ্রিল

Comments

The Daily Star  | English
Nat’l election likely between January 6, 9

EC suspends registration of AL

The decision was taken at a meeting held at the EC secretariat

3h ago