দ্বিতীয় টেস্টে এমন উইকেট থাকবে না, সুজনের ধারণা

২৯ এপ্রিল শুরু হবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় টেস্টে।
Khaled mahmud sujon

পাল্লেকেলেতে প্রথম টেস্টের উইকেট ছিল একদম নিষ্প্রাণ। বোলারদের জন্য কোন সহায়তা না থাকা উইকেটে ম্যাচ হয়েছে ম্যাড়ম্যাড়ে ড্র। তবে একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় টেস্টের উইকেটে ভিন্নতা দেখা যাবে বলে মনে করছেন সফরে বাংলাদেশের টিম লিডার খালেদ মাহমুদ সুজন।

প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ৫৪১ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। জবাবে লঙ্কনরা ৮ উইকেটে ৬৪৮ রান করে শেষ দিনে গিয়ে ইনিংস ছাড়ে। এরপর বাংলাদেশ ২ উইকেটে ১০০ রান করলে বৃষ্টিতে শেষ সেশনের খেলা হয়নি।

ম্যাচের পরদিন রোববার বাংলাদেশ দল ছিল বিশ্রামে। টিম হোটেল থেকে ভিডিও বার্তায় সেই ম্যাচ নিয়ে কথা বলেন টিম লিডার ও বিসিবি পরিচালক সুজন। তিনি জানান, প্রথম টেস্টের উইকেট নিয়ে স্বাগতিক দলও ছিল নাখোশ। তাই পরের টেস্টে নিশ্চিতভাবে বদলে যাবে পরিস্থিতি,  ‘হ্যাঁ আমি বিশ্বাস করি এই ম্যাচের উইকেট একদম ফ্ল্যাট ছিল। যেখানে এই কন্ডিশনে, এই উইকেটে টেস্ট ম্যাচের ফল হওয়া খুবই কঠিন আসলে। তবে আমি মনে করি এরপরে আমাদের জন্য অন্যরকম কিছু অপেক্ষা করছে।’

কেমন উইকেট হবে তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা দিতে না পারলেও উইকেট যে ফলদায়ক হবে তা বুঝেছেন সুজন,  ‘সেটা এখনই বলা যাবেনা উইকেট না দেখে। কালকে আমরা মাঠে যাবো আশা করি, সিমিং উইকেট হতে পারে, কতটুকু সিমিং হবে আমরা জানি না। হয়তো স্পিন উইকেট হতে পারে। কিন্তু অবশ্যই ফ্ল্যাট উইকেট হবে না বলে আমি মনে করি। কারণ শ্রীলঙ্কা দলও হয়তো পছন্দ করেনি এই উইকেটকে।’

দুই দলের বোলারদের প্রতিও সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি,  ‘বোলারদের জন্য খুবই দুঃখিত , দুই দলের বোলারদের জন্যই। এই উইকেটে টেস্ট ম্যাচ জেতানো, বোলারদের জন্য খুবই কঠিন, ২০ উইকেট তোলা। আর আমাদের বোলিং আক্রমণের চেয়ে তো ওদের পেস বোলিং আক্রমণ বেশি অভিজ্ঞ। হয়তোবা আমরা স্পিনারদের দিক থেকে অভিজ্ঞ ছিলাম। কিন্তু পেস বোলারদের দিক দিয়ে ওরা অভিজ্ঞ। ওরাও কিন্তু এখান থেকে উইকেট তুলতে পারেনি। পুরো পাঁচদিন শেষে আমরা দেখলাম মাত্র ২০ টা উইকেটের মত পড়েছে। আমি বলবো যে টেস্ট ক্রিকেটে রেজাল্ট ওরিয়েন্টেড উইকেট এটা না। আমরা আশা করছি পরের ম্যাচে এর থেকে ভালো উইকেট পাবো।’

২৯ এপ্রিল শুরু হবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় টেস্টে।

Comments

The Daily Star  | English

12th national elections: 731 of 2,716 nominations rejected

Nomination papers rejected mainly for three reasons, says EC joint secretary

1h ago