গরমের তীব্রতা থাকবে আরও কয়েকদিন
দেশজুড়ে তাপদাহ চলছে গত কয়েকদিন ধরেই। এতে সবচেয়ে বেশি কঠিন সময় পার করছেন সেই সব মানুষ যারা কায়িক শ্রমের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রাজশাহী, যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলে তীব্র তাপদাহ এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, রংপুর, সিলেট ও বরিশালে মধ্যম পর্যায়ের তাপদাহ অনুভূত হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই এই অসহনীয় গরম কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
তিনি বলেন, ‘সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে এপ্রিলের ২৮ ও ২৯ তারিখে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অংশে ৩০ এপ্রিল বা ১ মে বৃষ্টিপাত হতে পারে।’
গত রোববার যশোরে সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক দুই ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সর্বোচ্চ ৩৯ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল যশোরে এবং ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক চার ডিগ্রী।
প্রচণ্ড গরমে দিন মজুর ও কায়িক শ্রমের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহকারী মানুষ রয়েছে বাড়তি দুর্ভোগে।
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকার রিকশা চালক ওমর আলী বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমে রিকশা চালাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। কিছুক্ষণ পরপরই পানি পান করতে হচ্ছে এবং বিশ্রাম নিতে হচ্ছে।’
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, গত ২০ বছরে ঢাকা শহরের তাপমাত্রা প্রায় তিন ডিগ্রী সেলসিয়াস বেড়েছে।
চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেটেও একই সময়সীমার মধ্যে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বেড়েছে।
মূলত জনসংখ্যার ঘনত্ব, গাছপালার অভাব, সুউচ্চ ভবন এবং মানুষের বিভিন্ন কার্যক্রমের কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে এই গবেষণায় চিহ্নিত করা হয়েছে।
‘সার্ফেস আরবান হিট আইল্যান্ড ইন্টেনসিটি (এসইউএইচআইআই) ইন ফাইভ মেজর সিটিজ অব বাংলাদেশ: প্যাটার্ন্স, ড্রাইভার্স অ্যান্ড ট্রেন্ডস’ নামের এই গবেষণা প্রতিবেদনটি সাসটেইনেবল সিটিজ অ্যান্ড সোসাইটি জার্নাল অব এলসেভিয়ের-এ ১৬ এপ্রিল প্রকাশিত হয়েছে।
Comments