ড্র ম্যাচকে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা চরম হতাশার: ডমিঙ্গো
ঘরে-বাইরে টেস্টে টানা হারতে থাকা বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কায় গিয়ে প্রথম টেস্টই ড্র করে। এই পারফরম্যান্স নিয়ে বেশ সন্তুষ্টি জানিয়েছিলেন অধিনায়ক মুমিনুল হক আর টিম লিডার খালেদ মাহমুদ সুজন। তবে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বললেন, একটা ড্র ম্যাচকে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা চরম হতাশার ব্যাপার।
পাল্লেকেলের ব্যাটিং স্বর্গে প্রথম ইনিংসে বড় রান করে বাংলাদেশ। লঙ্কানরাও চড়ে রানের পাহাড়ে। দুই দলের একটি করে ইনিংস শেষ হতেই পেরিয়ে যায় ১৩ সেশন। নিষ্প্রাণ এই ড্র বাংলাদেশের জন্য হয়ে এসেছে স্বস্তির।
এর ঠিক আগের সিরিজেই যে খর্ব শক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছিল। সেই ধাক্কা কাটিয়ে লঙ্কায় গিয়ে ম্যাচ ড্র করাকে দেখা হচ্ছিল সাফল্য হিসেবে। খালেদ মাহমুদ সুজন পরে জানিয়েছিলেন, উন্নতির ধারায় ফিরতে দল আগে এক বছর খালি ড্র করুক।
কিন্তু এই চিন্তার প্যাটার্নের সঙ্গে একদম দ্বিমত জানালেন ডমিঙ্গো। বুধবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানালেন বদল আনতে হবে বাংলাদেশ দলের এই মানসিকতার, ‘এটা খুবই হতাশার যখন একটা ড্র ম্যাচকে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। আমি এখানে টেস্ট ড্র করতে আসিনি। আমরা টেস্ট হারতে চাই না কিন্তু এখানে একটা মানসিকতার বদল দরকার। আমাদের জেতার জন্য খেলতে হবে। ড্র নিয়ে আমি সেভাবে খুশি নই।’
দায়িত্ব নেওয়ার পর শ্রীলঙ্কা সফরের আগে সাত টেস্টে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে ছিলেন ডমিঙ্গো। এরমধ্যে জয় কেবল একটি। বাকি সবগুলোতেই হেরেছে দল। ভারত, পাকিস্তানে গিয়ে ইনিংস হার আছে। ঘরের মাঠে হার আছে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও।
তার মতে এই সময়টায় দলের সংস্কৃতিটা বোঝার চেষ্টা করেছেন তিনি, ‘ছয়-সাত টেস্ট থেকে আমি দলের সঙ্গে আছি। আমার মনে হয় দলের সংস্কৃতিটা আমি বুঝি। আমি জানি কোথায় উন্নতি করা দরকার। বিশেষ করে টেস্টের মানসিক দিক একটা বড় বিষয়। অনেকটা পথ বাকি।’
‘টেস্ট হারার একটা ভীতি ছিল, এই জায়গা থেকে আমাদের বেরুতে হবে। আমাদের জিততে হবে। আমার মনে হয় এই মুহূর্তে আমরা না হারার জন্য খেলছি। মানসিক এই জায়গাটা বদলানো দরকার।’
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সাদা পোশাকের খেলায় মানসিকতার বদল দেখতে চান তিনি। দেখতে চান ইতিবাচক ভূমিকায়, ‘ছেলেরা টেস্টে তেমন সফল না। মানসিকতা বদলানোর আগ পর্যন্ত আমরা সব সময় মাঝারি থেকে যাব। আমাদের জেতার জন্য আগাতে হবে। কঠিন কন্ডিশনে আমাদের আগে ব্যাট করতে হবে। বোলারদের পর্যাপ্ত সময় দিতে আমাদের ইনিংস ঘোষণা করতে হবে সময়মত। সত্যিকারের টেস্ট জাতি হতে গেলে এই জায়গাগুলো দরকার।’
বৃহস্পতিবার থেকে পাল্লেকেলেতে শুরু হবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় টেস্ট। প্রথম টেস্ট ড্র হওয়ায় এই ম্যাচ সিরিজ নির্ধারনী। বাংলাদেশের কোচের আশা ম্যাচটা থেকে ফল বের করতেই ইতিবাচক খেলার পরিকল্পনা তার, ‘আমরা চেষ্টা করব সিরিজ জেতার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওদের মাঠে সিরিজ জেতা হবে বড় অর্জন। দেশের বাইরে সিরিজ জেতা আমাদের একটা লক্ষ্য। তারজন্য পাঁচদিন ভাল ক্রিকেট খেলতে হবে। শ্রীলঙ্কা কঠিন প্রতিপক্ষ বিশেষ করে তাদের ঘরের মাঠে তো বটেই। আমাদের শুরুটা ভাল করা দরকার।’
Comments