বসুন্ধরা এমডির আগাম জামিন শুনানি হচ্ছে না

সায়েম সোবহান আনভীর। ছবি: সংগৃহীত

আগাম জামিন চেয়ে করা কোনো আবেদনের ওপর শুনানি করবে না বলে জানিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খন্দকার দিলিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ কথা জানিয়েছেন।

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খন্দকার দিলিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে আজকের কার্যতালিকায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনা’ দেওয়ার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার আগাম জামিন চেয়ে করা আবেদনটি ১৪ নম্বরে অন্তর্ভুক্ত ছিল।

আদালতের শুরুতেই বিচারপতি মামনুন রহমান বলেন, করোনা পরিস্থিতি এবং বিধিনিষেধ চলাকালে আদালত কোনো আগাম জামিনের ওপর শুনানি করা হবে না। ভুলবশত কিছু আগাম জামিনের আবেদন আজকের কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।’

সায়েম সোবহান আনভীরের আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করছেন। তিনি বলেন, ‘আদালত বলেছেন, আগাম জামিন আবেদন শুনবেন না। তাই আমরা মুভ করিনি।’ আনভীর আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

এক প্রশ্নের জবাবে মনসুরুল হক চৌধুরী বলেন, ‘পরবর্তী কার্যক্রম কী হবে তা ক্লায়েন্টের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে।’

গতকাল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মামুন চৌধুরীর মাধ্যমে হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় তিনি জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন।

সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে এক কলেজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল ভোরে ওই শিক্ষার্থী বড় বোন বাদী হয়ে ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া’র অভিযোগ এনে বসুন্ধরার এমডির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই কলেজ শিক্ষার্থী তার বোনকে ফোন দিয়ে বলেছিলেন তিনি ‘ঝামেলা’য় আছেন। তখন তার বোন ঢাকায় আসেন এবং সেই ফ্ল্যাটে যান। ভেতর থেকে দরজা না খোলায়, ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভেতরে যাওয়ার পর সিলিং ফ্যানের সঙ্গে তার মরদেহ ঝুলতে দেখা যায়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

মঙ্গলবার ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে পুলিশের করা আবেদন মঞ্জুর করেন।

আরও পড়ুন

আগাম জামিন আবেদন করলেন সায়েম সোবহান আনভীর

বসুন্ধরার এমডির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

গুলশানে ফ্ল্যাট থেকে কলেজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

 

Comments

The Daily Star  | English
enforced disappearance in Bangladesh

Enforced disappearance: Anti-terror law abused most to frame victims

The fallen Sheikh Hasina government abused the Anti-Terrorism Act, 2009 the most to prosecute victims of enforced disappearance, found the commission investigating enforced disappearances.

7h ago