পর্তুগালে শেষ হচ্ছে জরুরি অবস্থা
পর্তুগালে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছিল গত জানুয়ারিতে। তখন সরকার বাধ্য হয়ে লকডাউন ঘোষণা করেছিল। তখন ইউরোপজুড়ে রেড জোনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল পর্তুগাল। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গিয়েছিল। এর ফলে হাসপাতালগুলোতে অ্যাম্বুলেন্সের দীর্ঘ লাইন দেখা গিয়েছিল তখন।
এরপর গত ১১ মার্চ রাতে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর জাতির উদ্দেশে ভাষণে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার জন্য পর্তুগাল সরকার মোট চার ধাপে পরিকল্পনাটি তুলে ধরেন। সরকার তখন ধীরে ধীরে লকডাউন তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেয়।
মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের পর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার লক্ষ্যে আগামী ১ মে থেকে জরুরি অবস্থার অবসান ঘটিয়ে, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলার নতুন সময়সূচি প্রকাশ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপন অনুসারে স্পেনের সঙ্গে পর্তুগালের সীমান্ত চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে। রেস্তোরাঁ-কফিশপে এক সঙ্গে ছয় জন বসতে পারবে।
রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত রেস্তোরাঁ খোলা রাখা যাবে এবং এসপ্লানাডাসে এক টেবিলে সর্বোচ্চ ১০ জন বসতে পারবেন।
শপিংমলগুলো ও নন জরুরি নয় এমন দোকান শনি ও রোববার ছুটির দিনে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে এবং সোমবার থেকে শুক্রবার আগের মতোই রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
পর্তুগালে অনেকটা উন্নতির দিকে করোনা পরিস্থিতি। তবে দুঃসংবাদ হচ্ছে, সেখানে ইতোমধ্যে ভারতের ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করা হয়েছে ছয় রোগীর শরীরে। বর্তমানে তারা সবাই হোম কোয়েরেন্টিনে রয়েছেন।
আজ শুক্রবার জনস হপকিনস করোনা গবেষণা কেন্দ্রের হিসাবে পর্তুগালে মোট আক্রান্ত হয়েছেন আট লাখ ৩৬ হাজার ৩৩ জন এবং মারা গেছেন ১৬ হাজার ৯৭৪ জন।
মনির হোসেন, পর্তুগাল-প্রবাসী
Comments