স্থান সংকুলান হচ্ছে না বেনাপোলে, ভারতফেরতদের যশোরে রাখার সিদ্ধান্ত
বেনাপোল স্থল বন্দর ব্যবহার করে ভারত থেকে আসা বাংলাদেশিদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে যশোর শহরের ১৬টি জায়গায় রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। হোটেল মালিকরা সম্মত হয়েছেন, তারা নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অর্ধেক খরচে ভারতফেরতদের কোয়ারেন্টিনে রাখবেন।
সূত্র জানিয়েছে, বেনাপোল হয়ে গত পাঁচ দিনে এক হাজারের বেশি মানুষ দেশে এসেছেন। ইতোমধ্যে বেনাপোলের হোটেলগুলো ভরে গেছে। যে কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গতকাল বিকেলে যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় হোটেল মালিক ও তাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
কেবল যশোর নয়, স্থান সংকুলান না হলে পাশের চার জেলাতেও হোটেলগুলোতে কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। এগুলো হলো— সাতক্ষীরা, খুলনা, ঝিনাইদহ ও নড়াইল।
তমিজুল ইসলাম খান বলেন, ‘ভারত থেকে যত লোক ফেরত আসার কথা ছিল তার থেকে অনেক বেশি আসছে। বেনাপোল বন্দরের হোটেলগুলো পূর্ণ হয়ে গেছে। ঝিকরগাছা উপজেলার গাজীর দরগাহ এতিমখানা ও মাদ্রাসা ভবনও পূর্ণ। যে কারণে এখন যশোর শহরের হোটেলগুলো রিকুইজিশন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। হোটেলের মালিকরা ভারতফেরত বাংলাদেশি নাগরিকদের স্বল্প খরচে থাকার ব্যবস্থা করতে সম্মত হয়েছেন। হোটেলগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
জেলা প্রশাসনের সূত্র জানায়, যশোরের শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের ডরমেটরি, জাবির ইন্টারন্যাশনাল হোটেল, হোটেল হাসান ইন্টারন্যাশনাল, হোটেল সিটি প্লাজা, হোটেল ম্যাগপাই, হোটেল আর এস, হোটেল মণিহার, হোটেল ম্যাক্স, হোটেল সোনালী, সিটি হোটেল, হোটেল শাহরিয়ার, হোটেল বলাকা, হোটেল নয়ন, হোটেল নিউ ওয়ে, হোটেল প্রিন্স, হোটেল সিটি এবং যশোর হোটেলে কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ সালাউদ্দিন শিকদার বলেন, ‘যেসব স্থানে ভারতফেরতদের রাখা হয়েছে সেখানে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও আনসার মোতায়েন থাকবে। ১৪ দিন অবস্থানের পরে কোভিড নেগেটিভ সনদ পেলে তাদের বাড়িতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।’
Comments