কামরাঙ্গীরচরে জাল টাকা তৈরি চক্রের ৩ সদস্য আটক
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকা জাল টাকা তৈরির সরঞ্জামসহ একটি চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থার (ডিবি)।
পুলিশের গোয়েন্দা (গুলশান) বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, আজ সকাল ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে তাদের তিন জনকে আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, পুলিশ তাদের খাটের তলায়, জাজিমের নিচে ও আলমারিতে কাপড়চোপড়ের ভেতর থেকে জাল ৪৬ লাখ টাকা ও জাল টাকা তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করেছে। এছাড়া তাদের কাছ থেকে দুটি ল্যাপটপ, দুটি প্রিন্টার, হিট মেশিন, বিভিন্ন ধরনের স্ক্রিন, ডাইস, জাল টাকার নিরাপত্তা সুতা, বিভিন্ন ধরনের কালি, আঠা এবং স্কেল কাটারসহ আরও অনেক সামগ্রী উদ্ধার হয়।
তাদের কাছে যে পরিমাণ সরঞ্জাম মজুত ছিল তা দিয়ে আরও দেড় কোটি টাকার জাল নোট তৈরি করা সম্ভব ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মশিউর রহমান বলেন, ‘জাল টাকা তৈরি চক্রের মূল হোতা জীবনকে এর আগেও দুবার আটক করা হয়েছিল।’
তিনি জানান, জীবন জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে তিন বছর আগে আটক হওয়ার পর জেল থেকে বেরিয়ে আবারও টাকা তৈরির কাজ শুরু করে জীবন। আটক দুই ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স প্রায় চার মাস ধরে জীবনের সঙ্গে জাল টাকা তৈরির কাজ করছেন।
মশিউর রহমান বলেন, ‘জীবন অনেক আগে থেকেই জাল টাকা তৈরির সঙ্গে জড়িত। এছাড়া এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গেও তার যোগাযোগ আছে। এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেই জীবন জাল টাকা বাজারে ছড়ায়। পুলিশ এখন খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে তারা এ পর্যন্ত কত টাকা বাজারে ছেড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জাল টাকার মান আরও উন্নত করার জন্য সম্প্রতিকালে জীবন দুজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারকে তাদের সঙ্গে যুক্ত করেছেন। এই দুজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারের তৈরি টাকার মান অনেক উন্নত, খুব সহজে এই টাকা চেনা যায় না।’
আটক ব্যক্তিরা জানিয়েছে, এক লাখ টাকা মূল্যের জাল নোট তৈরিতে তাদের সাত থেকে আট হাজার টাকা খরচ হয় এবং অন্তত ১২ হাজার টাকায় তারা সেগুলো বিক্রি করে। ঈদ সামনে রেখে এই চক্রটি বেশি করে টাকা তৈরি করে বাজারে ছাড়তে চেয়েছিল বলেও জানান তিনি।
এছাড়া আটক তিন জনের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আটক ইমাম হোসেন ও মো. পিয়াস দুজনই বরিশালের একটি সরকারি পলিটেকনিক কলেজ থেকে ডিপ্লোমা করেছেন।
Comments