৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিনে বেক্সিমকোর লাভ ৩৮.৩৩ কোটি টাকা

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা। ছবি: রয়টার্স

গত নয় মাসে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মুনাফা বেড়েছে ৪০ শতাংশ। যার একটা অংশ এসেছে ভারত থেকে ভ্যাকসিন আমদানির মাধ্যমে।

২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়কালে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত এই ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিটির মুনাফা ১০৭ কোটি টাকা বা ৪০ শতাংশ বেড়ে ৩৬৯ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

বেক্সিমকোর আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ভারত থেকে ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন এনে তা সরকারকে সরবরাহের মাধ্যমে ৩৮ কোটি টাকা লাভ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

অর্থাৎ প্রতি ডোজ ভ্যাকসিনে তাদের লাভ হয়েছে ৭৬ দশমিক ৭৪ টাকা বা প্রায় ৭৭ টাকা।

ভ্যাকসিন আনার ক্ষেত্রে সরকার ও ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির পর পুঁজিবাজারে কোম্পানিটির শেয়ারের দর দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে।

গত বছরের ৫ নভেম্বর তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আনার এই ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়।

ওই চুক্তির কয়েক সপ্তাহ পর যখন মানবদেহে ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়, তখন থেকেই পুঁজিবাজারে বেক্সিমকোর শেয়ারের দর বাড়তে শুরু করে।

গতকাল বেক্সিমকো ফার্মার প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ১৯২ দশমিক ৫০ টাকা। যা গত বছরের আগস্টে ছিল ৮০ টাকা।

চুক্তির বরাত দিয়ে আর্থিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেক্সিমকো ভ্যাকসিন আমদানি, সংরক্ষণ ও সেগুলো সরকারি ওয়্যারহাউসে সরবরাহের খরচ বাবদ অর্থ নেবে।

তবে, ওই প্রতিবেদনে ভ্যাকসিন সরবরাহ থেকে আয়ের হিসাবে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সব খরচ বাদ দিয়েই কোম্পানিটি ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন থেকে ৩৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকা লাভ করেছে।

ত্রিপক্ষীয় ওই চুক্তিটি পুনরাবৃত্তিহীন ও এককালীন এবং ভবিষ্যতে বাকি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হলে, সেখানে থেকেও একই পরিমাণ অর্থ লাভ করবে বেক্সিমকো।

বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বেক্সিমকো ফার্মার রাজস্ব এক হাজার ৯১০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দুই হাজার ১৭৬ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। শেয়ারপ্রতি কোম্পানিটির আয় বেড়েছে আট দশমিক ২৩ টাকা, যা আগে ছিল পাঁচ দশমিক ৮৪ টাকা।

Comments

The Daily Star  | English
Government notification banning Awami League

Govt bans activities of AL until ICT trial completion

A gazette notification was issued in this regard by Public Security Division of the home ministry

2h ago