‘দমন-পীড়নে’ বাংলাদেশের গণমাধ্যম, জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারকে চিঠি
বাংলাদেশে বাক-স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর ‘দমন-পীড়ন’ ক্রমশ বাড়ছে উল্লেখ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউনাইটেড নেশনস হাইকমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস) দৃষ্টি আকর্ষণ করে চিঠি দিয়েছে আটটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার হাইকমিশনারের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলেছে, ‘বাংলাদেশ সরকার ক্রমাগতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘণ করছে— আমরা এ বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
চিঠিতে বাংলাদেশে মুক্ত গণমাধ্যম ও বাক-স্বাধীনতার ওপর ক্রমবর্ধমান দমন-পীড়নের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু ও কার্টুনিস্ট কিশোরের ওপর নির্যাতনে ‘উদ্বেগ’ জানিয়ে গত ১ মার্চ ইউএনএইচআর বার্তা দেওয়ায় চিঠিতে এর প্রশংসা করা হয়েছে। পাশাপাশি, দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ঢেলে সাজানো ও এই আইনের অধীনে সব কারাবন্দির মুক্তির দাবিকে স্বাগত জানিয়েছে সংগঠনগুলো।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘গণমাধ্যমের ওপর প্রতিনিয়ত আঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আপনাকে ও জাতিসংঘের বিশেষ ম্যানডেটগুলোকে প্রকাশ্যে ও জোরালোভাবে উদ্বেগ জানানোর অনুরোধ করছি। বাক-স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা ও তা রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বানে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।’
সাত বছর আগে বাংলাদেশে ‘সাংবাদিক গ্রেপ্তার ও তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ায়’ জাতিসংঘ একটি বিশেষ ম্যানডেটের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল উল্লেখ করে চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘২০১৮ সালে ডিসেম্বরে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার গণমাধ্যমের ওপর আরও বেশি খড়গ হস্ত হয়েছে’।
‘সাংবাদিকরা দলীয় কর্মীদের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছে’ এবং ‘নিউজ সাইট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে’ বলেও চিঠিতে বলা হয়েছে।
এই চিঠিতে সই করা সংগঠনগুলো হচ্ছে— এশিয়ান ফেডারেশন অ্যাগেস্ট ইনভলুন্টারি ডিজঅ্যাপিয়ারেনসেস (এএফএডি), এশিয়ান ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ফোরাম-এশিয়া), এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন (এএইচআরসি), এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস (এএনএফআরইএল), কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্ট, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস (এফআইডিএইচ) ও রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস।
Comments