টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছে বাংলাদেশ
ওয়ানডে সংস্করণে প্রত্যাশা অনুযায়ী উন্নতি করতে পারলেও টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে তা করতে পারেনি বাংলাদেশ। এ দুই সংস্করণে এখনও ধুঁকছে টাইগাররা। তবে এর মাঝেই ভালো সংবাদ পেয়েছে বাংলাদেশ দল। আইসিসির সবশেষ টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ এগিয়েছে দলটি।
নতুন র্যাঙ্কিংয়ে দুই বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। সময়ের সেরা সেরা টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড় নিয়েও সাম্প্রতিক সময়ে ক্যারিবিয়ানদের ব্যর্থতাতেই র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয় টাইগারদের। ৬ রেটিং পয়েন্ট হারিয়ে তাদের অবস্থান এখন ১০ নম্বরে।
সে সুযোগে ২২৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে র্যাঙ্কিংয়ের নবম স্থানে উঠেছে বাংলাদেশ। তবে অষ্টম স্থানে থাকা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ব্যবধানটা খুবই কম। মাত্র ২ রেটিং পয়েন্ট বেশি নিয়ে অষ্টম স্থানে আছে তারা। সপ্তম স্থানে থাকা আফগানিস্তানের রেটিং পয়েন্ট ২৩৬। সেক্ষেত্রে একটি সিরিজ জিতলে সপ্তম স্থানে চলে আসতে পারে টাইগাররা।
এ সংস্করণে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানে রয়েছে ইংল্যান্ড। তাদের রেটিং পয়েন্ট ২৭৭। পাঁচ রেটিং পয়েন্ট কম নিয়ে দুই নম্বরে আছে ভারত। দুই ধাপ এগিয়ে ২৬৩ রেটিং নিয়ে পাঁচ নম্বর থেকে তিনে উঠে এসেছে নিউজিল্যান্ড। চার পাকিস্তান (২৬১), পাঁচে অস্ট্রেলিয়া (২৫১) এবং ছয় নম্বরে অবস্থান করছে দক্ষিণ আফ্রিকা (২৪৮)।
র্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এসেছে ওয়ানডে সংস্করণে। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হটিয়ে শীর্ষে উঠেছে বিশ্বকাপের রানার্সআপ নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশকে ঘরের মাঠে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে তিন নম্বর থেকে দুই ধাপ এগিয়ে শীর্ষে উঠে আসে কিউইরা। আর এক ধাক্কায় এক থেকে চার নম্বরে নেমে গেছে ইংল্যান্ড। মাঝের দুইটি স্থানে আছে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত।
ওয়ানডেতে যথারীতি সাত নম্বরেই আছে বাংলাদেশ। আগের মতোই পাঁচে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ছয়ে পাকিস্তান। আট নম্বরে উঠে এসেছে ক্যারিবীয়রা। অন্যদিকে নয় নম্বরে নেমে গেছে শ্রীলঙ্কা। আগের মতোই দশ নম্বরে আছে আফগানিস্তান।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হালনাগাদ করলেও এখনও টেস্ট সংস্করণে করেনি আইসিসি। মূলত জিম্বাবুয়ে ও পাকিস্তানের মধ্যকার টেস্ট সিরিজ চলমান থাকায় এ সংস্করণের হালনাগাদ প্রকাশ করেনি ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। সিরিজ শেষ হওয়ার পর জানানো হবে।
Comments