‘শুধু টাকার কারণেই ফাইনালে ওঠেনি ম্যানসিটি’
২.০১৬ বিলিয়ন ইউরো! ট্রান্সফারমার্কেটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী আবুধাবির মালিকের হাতে যাওয়ার পর ঠিক এই পরিমাণ অর্থ খরচ করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। আর শেষ পর্যন্ত বিশাল অঙ্কের এই টাকা কাজে দিয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে সিটিজেনরা। কিন্তু টাকা খরচা করার কারণেই সাফল্য পেয়েছেন, এমনটা মানতে নারাজ দলের প্রধান কোচ পেপ গার্দিওলা। সঙ্গে ভাগ্য ছিল বলেও ফাইনালে উঠতে পেরেছেন বলে মনে করেন এ স্প্যানিশ কোচ।
ইতিহাদে মঙ্গলবার রাতে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে পিএসজির বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছে সিটি। আগের লেগে ২-১ গোলে জিতেছিল তারা তারা। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ ব্যবধানে জিতে শিরোপার মঞ্চে জায়গা করে নিয়েছে ম্যানচেস্টারের দলটি। সঙ্গে ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব আসরে এক মৌসুমে টানা ১১টি ম্যাচ জেতার রেকর্ডও গড়েছে তারা। এই কীর্তি নেই ইংল্যান্ডের আর কোনো দলের।
আরও পড়ুন- সাকিব-মোস্তাফিজকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনেই থাকতে হবে
এমন জয়ের পর সবার আগেই আলোচনা হচ্ছে সিটি মালিকের বিশাল অর্থ খরচ করার সামর্থ্য নিয়ে। অনেকেরই ধারণা, টাকার কারণেই শেষ পর্যন্ত ফাইনালে যেতে পেরেছে দলটি। তবে কেউ যদি এমনটা ভেবে তাহলে সে ভুল ভাবছেন বলে জানান সিটি কোচ গার্দিওলা, 'এটা (ফাইনালে উঠতে পাড়া) কেবল অর্থের কারণে হয়নি। আপনি যদি এমনটা ভেবে থাকেন তাহলে আপনি ভুল ভেবেছেন।'
প্রথম লেগের দুটি অ্যাওয়ে গোলের কারণে এদিন ০-১ ব্যবধানে হারলেও ফাইনালে যেত সিটি। কিন্তু উল্টো দাপট দেখিয়েই জিতেছে তারা। ফাইনালে ওঠার জন্য যে তারা ক্ষুধার্ত তা প্রমাণ করেছে। তবে সামান্য হেরফের হলে হয়তো আসর থেকে ছিটকে যেতে পারতেন বলে মনে করেন সিটি কোচ, ‘আমরা প্রথম ম্যাচে (প্রতিরক্ষামূলক প্রাচীরের) ফাঁক দিয়ে নিতম্বের আঘাতে একটি গোল পেয়েছি, এবং আজ মারকুইনহোস প্রথমার্ধে একবার বারে আঘাত হানে - আপনি খুব অল্প ব্যবধানেই আসর থেকে বাইরে চলে যেতে পারেন।’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে অনেক দলই জিততে জিততে হেরে গেছে। শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে বাদ পড়েছে। সেসব উদাহরণও টেনে আনলেন এ কোচ, ‘জন টেরির স্লিপের কারণে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড একটি শিরোপা জিতেছিল এবং শেষ মুহূর্তে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে গোল করে বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদ শিরোপা জিতেছে। এটি এমন একটি প্রতিযোগিতা যেখানে পার পাওয়া বেশ কঠিন। এখানে তারকারা জড়িত থাকে।’
তবে শেষ পর্যন্ত দারুণ এক জয়ে উচ্ছ্বসিত গার্দিওলা শিষ্যদের কৃতিত্ব দিচ্ছেন। পাশাপাশি পর্দার আড়ালে থেকে যারা কাজ করেছে তাদেরও ধন্যবাদ দিতে ভুল করেননি তিনি, ‘এটা অসাধারণ। লোকজন মনে করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠা সহজ। ফাইনালে উঠলে আমরা বিগত চার-পাঁচ বছর ধরে কী করে এসেছি তা বোঝা যাচ্ছে। ছেলেরা ধারাবাহিকভাবে দারুণ খেলে আসছে।... আমি ক্লাবের মালিক, চেয়ারম্যান এবং কর্মীদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। এই ক্লাবের এমন সমস্ত লোকদেরও যারা পর্দার আড়ালে কাজ করে।’
Comments